অভিনেত্রীদের মতো অভিনেতারাও শুয়েই কাজ জোগাড় করেন? শ্রীলেখাকে পরোক্ষে বিঁধলেন স্বস্তিকা

স্বস্তিকা একবার মুখ খুললে তিনি যে আরও কিছু বলবেন বলাই বাহুল্য। কতখানি বিস্ফোরণ ঘটালেন তিনি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২০ ২০:১৩
Share:

বাঁ দিকে শ্রীলেখা এবং ডান দিকে স্বস্তিকা।

মুখ খোলা উচিত ছিল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। কারণ, সুশান্ত সিংহ রাজপুত, স্বজনপোষণ নিয়ে বলতে গিয়ে অতি সম্প্রতি ভিডিয়ো বার্তায় খুল্লামখুল্লা এই টলি ডিভাকে সরাসরি বিঁধেছেন শ্রীলেখা মিত্র। শ্রীলেখার স্পষ্ট অভিযোগ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের ‘প্রেম’ থাকার জন্যই নাকি তিনি ‘বুম্বাদা’র বিপরীতে অনেক ভাল ছবির নায়িকা হতে পারেননি।

Advertisement

শ্রীলেখার দাবি, যাঁরা প্রযোজক-পরিচালকদের সঙ্গে অবলীলায় শুতে-বসতে পারেন তাঁরা মুঠো মুঠো কাজ পান। তিনি সেটাও পারেননি, মাথার ওপরে গডফাদারও নেই। ফলে, তিনি সুশান্ত সিংহ রাজপুতের যন্ত্রণা মজ্জায় মজ্জায় অনুভব করতে পারছেন।

অবশ্য ঋতুপর্ণা নীরব থাকলেও চুপ করে নেই স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। নাম না করে এবার তাঁর ছোট্ট প্রশ্ন, যে সব অভিনেতা এক পরিচালকের একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন তাঁরাও কি ‘শুয়ে বসে’ই কাজ জোগাড় করেন?

Advertisement

আরও পড়ুন- ‘গডফাদার নেই, ন্যাকামোও করিনি, যাইনি বিছানাতেও, তাই প্রাপ্যও পাইনি কোনও দিন’

স্বস্তিকা একবার মুখ খুললে তিনি যে আরও কিছু বলবেন বলাই বাহুল্য। কতখানি বিস্ফোরণ ঘটালেন তিনি?

দেখুন স্বস্তিকার পোস্ট

সোশ্যালে স্বস্তিকার যুক্তি, ‘‘যখন কোনও অভিনেত্রী কোনও পরিচালককের সঙ্গে এক বা একের বেশি ছবি করে তখন বলা হয়, সে শুয়ে বা প্রেম করে কাজটা পেয়েছে। বেশ। তা, আমি এক পরিচালকের সঙ্গে তাঁর জীবনের ১৭টা ছবির মধ্যে আড়াইখানা ছবি করেছি (২টি মুখ্য চরিত্র, একটি অতিথি শিল্পী)। কিন্তু যেহেতু এই পরিচালকের সঙ্গে সৌমিক হালদার ১১টা, অনুপম রায় ৯টা, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ৭টা, যিশু সেনগুপ্ত ৭টা, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ৬টা এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ৬টা কাজ করেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই আরও বেশি করে শুয়ে আর প্রেম করে কাজগুলো পেয়েছেন? এনারা তা হলে সবাই উভকামী ও সুযোগসন্ধানী? যুক্তি তো সবার ক্ষেত্রেই এক হওয়া উচিত, তাই না? নাকি নিজের খামতি ঢাকতে স্লাট শেমিং শুধু আমাদের মতো ‘কুযোগ্য’ অভিনেত্রীদের করা হবে যারা একেবারেই অভিনয়টা পারে না?’’

স্বস্তিকার এই পোস্ট বলিউডের মতো টলিউডকেও স্বজনপোষণ বিতর্কে দুই শিবিরে ভাগ করবে কিনা জানা নেই।কিন্তু যাঁর লেখার প্রেক্ষিতে স্বস্তিকার এত শব্দ খরচ সেই শ্রীলেখা কি স্বস্তিকার এই পোস্ট পড়েছেন? প্রত্যুত্তরে কী বলতে চান তিনি?

এই প্রশ্নে আনন্দবাজার ডিজিটালকে অভিনেত্রীর নির্লিপ্ত জবাব: ‘‘আমি এই পোস্ট দেখিনি। শুধু এটা নয়, আমার লেখার প্রেক্ষিতে অন্য কারও পোস্ট দেখার প্রয়োজনও বোধ করি না। ফলে, এই নিয়ে আর একটি শব্দও খরচ করব না। যা বলার বলে দিয়েছি। সবার সব কথার উত্তর দিলে তাঁকে বড্ড বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।’’

দেখা যাক, টলিউডের ‘স্বজনপোষণ’ বিতর্কের জল শেষমেশ কোন দিকে গড়ায়!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন