বক্স অফিসে সোনা ফলিয়েছিল মাধুরী দীক্ষিত আর সলমন খান ম্যাজিক জুটির ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’। নয়ের দশকের এই ফিল্মের টিকিট কত বিক্রি হয়েছিল জানেন? ৭ কোটিরও বেশি!
বলিউডের সুপার-ডুপার ফিল্মের তালিকা তৈরি হলে রমেশ সিপ্পির ‘শোলে’ বেশ উপরের দিকেই থাকবে। এক সময় এক টানা পাঁচ বছর চলেছিল জয়-বীরুর এই কাহিনি। সাড়ে ৫ কোটিরও বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছিল ‘শোলে’র।
চলতি বছরে বক্স অফিসে ইতিহাস গড়েছে এস এস রাজামৌলির ‘বাহুবলী’। দেশ-বিদেশে ‘বাহুবলী’র টিকিট বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৫ কোটির কাছাকাছি।
ড্রামা ও রোম্যান্সের দুরন্ত ককটেল ‘গদর: এক প্রেম কথা’। দেশভাগের পর ভারত পাকিস্তানের দুই পরিবারের কাহিনি নিয়ে সানি দেওলের এই ফিল্ম। ৫ কোটি ১০ লক্ষের কাছাকাছি টিকিট বিক্রি হয়েছিল এর।
বছর কুড়ি আগে সিলভার স্ক্রিনে ইতিহাস লিখেছিল ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’। শাহরুখ খান আর কাজলের অনস্ক্রিন রোম্যান্সে তখন প্রায় সকলেই মেতে ছিলেন। প্রায় ৫ কোটি টিকিট বিক্রি হয়েছিল ‘দিলওয়ালে...
একই স্ক্রিনে রানি মুখোপাধ্যায় ও কাজলের সঙ্গে রোম্যান্স। সঙ্গে সুপারহিট গান। শাহরুখ খানের ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ আজও অনেকের কাছে আলটিমেট রোম্যান্টিক মুভি। টিকিট বিক্রি হয়েছিল সাড়ে ৫ কোটিরও বেশি।
১৯৯৬-এর সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার ছিল ‘রাজা হিন্দুস্তানি’। আমির খান আর করিশ্মা কপূরের এই ফিল্মের গান আজও অনেকের মুখে মুখে ফেরে। ৪ কোটি ১০ লক্ষের কাছাকাছি টিকিট বিক্রি হয়েছিল এই ফিল্মের।
দেশপ্রেম নিয়ে বলিউডে যে ক’টি ফিল্ম তৈরি হয়েছে তার মধ্যে ‘বর্ডার’ অন্যতম। মাল্টিস্টারার এই ফিল্মের স্বাদ এখনও অনেকের কাছেই তাজা। টিকিট বিক্রি হয়েছিল ৩ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি।
কুস্তিগীর মহাবীর সিংহ ফোগত আর তাঁর মেয়েদের কাহিনি নিয়ে গত বছরে বড় পর্দায় হাজির হয়েছিলেন আমির খান। সেই ‘দঙ্গল’-এর সাফল্যে এখনও ভাটা পড়েনি। এখনও পর্যন্ত এর টিকিট বিক্রি হয়েছে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মতো।
এ দেশে তো বটেই পাকিস্তানেও দারুণ ব্যবসা করেছিল কবির খানের ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। অ্যাকশন হিরো নন, সলমন খান এখানে পবন কুমার চতুর্বেদী, শাহিদার ভাইজান। ছোট্ট শাহিদাকে নিজের দেশ পাকিস্তানে ফিরিয়ে দিতে যিনি নিজের জীবনের বাজি রাখতে পারেন। এ ফিল্মের টিকিট বিক্রি হয়েছিল সাড়ে ৩ কোটিরও বেশি।