সিনেমার ক্ষেত্রে এডিট বা সম্পাদনা একটা বড় ব্যাপার। ছবিতে কে, কতটুকু থাকবেন, তা কিন্তু সম্পাদকের উপরেই নির্ভর করে। সম্পাদনার সময় অনেক তাবড় অভিনেতাও বাদ পড়েছেন এডিট টেবিলে। পরিচালক বা সম্পাদকরা ছবির প্রয়োজনে কাউকেই রেয়াত করেননি।
‘রেঙ্গুন’ ছবির সেরা দৃশ্যগুলিই বাদ পড়েছে এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। ছবিতে তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, এমনটাও বলেছিলেন অভিনেত্রী।
‘রইস’ ছবিতে পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খানের সঙ্গে শাহরুখ খানের বেশ কিছু রোম্যান্টিক দৃশ্য বাদ দেওয়া হয়েছিল। ছবিতে মাহিরার চরিত্রের গুরুত্ব একেবারেই কমে গিয়েছিল।
‘মিল্কি বিউটি’ তামান্না ভাটিয়া বাহুবলীতে ঝড় তুলেছিলেন, কিন্তু বাহুবলী ২ ছবিতে তাকে এক মিনিটের বেশি দেখা যায়নি। সবই সম্পাদনার দৌলতে!
জগ্গা জাসুস থেকে যেমন বাদ পড়েছিলেন গোবিন্দা। রণবীর কপূর ও ক্যাটরিনা কইফ অভিনীত ছবিতে ক্যামিওর চরিত্রে কাজ করেন গোবিন্দা। কিন্তু ছবি মুক্তির সময় পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয় গোবিন্দার চরিত্র। বাদ যাওয়ার কথা জেনে অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছিলেন তিনি, প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন তাঁর ক্ষোভের কথাও।
কভি খুশি কভি গম ছবি থেকে বাদ পড়েছিলেন অভিষেক বচ্চন। করিনা কপূরকে সময় জিজ্ঞাসা করার একটা দৃশ্য ছিল অভিষেকের। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের দৃশ্যও এডিট টেবিলে বাদ পড়ে।
পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খানের চরিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে। কিন্তু ২০১৬ সালে উরি হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে শীতলতা বেড়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই নাকি কর্ণ জোহরের ছবি থেকে ফাওয়াদ খান অভিনীত প্রায় সব দৃশ্যই বাদ পড়েছিল।