প্রিয়ঙ্কা
গত বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝি কলকাতায় এসেছিলেন পরিচালক অনুরাগ বসু। সে সময় তাঁকে কিশোরকুমারের বায়োপিকের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে স্পষ্ট জবাব দিয়েছিলেন, ‘‘কাস্টিং বোধহয় চেঞ্জ হবে। রণবীর করবে না। ওকে নিতে গেলে প্রচুর অপেক্ষা করতে হবে। ওর হাতে এখন প্রচুর কাজ। আমি অত দিন অপেক্ষা করতে পারব না। তাই অন্য কাস্টিং করব।’’ কিছুদিন আগে ‘জগ্গা জসুস’ ছবির প্রচারে এসেও একই কথা বললেন। তবে কথাবার্তায় ছবি করার জন্য আরও তাড়া ধরা যাচ্ছিল। কিন্তু কেন? যে পরিচালক একটা ছবির জন্য পাঁচ বছর অপেক্ষা করতেও দ্বিধা করেন না, তাঁর বায়োপিকের জন্য এত তাড়া?
শ্রদ্ধা
প্রিয় অভিনেতাকে পর্যন্ত বাদ দিয়ে দিচ্ছেন। বলিউডের ট্রেড অ্যানালিস্টরা বলছেন, এ সবই বায়োপিকের জন্য। বেশ কয়েক বছর ধরে বায়োপিকে মেতেছে বলিউড। তা সে জনপ্রিয় কারও জীবন হতে পারে, বা অপরিচিত কারও। আর প্রায় প্রত্যেকটা ছবিরই বক্স অফিসে বান ডেকেছে। সবচেয়ে বড় উদাহরণ তো ‘এম এস ধোনি: দি আনটোল্ড স্টোরি’ আর ‘দঙ্গল’।
রণবীর
প্রযোজক-পরিচালকরাও তাই এই স্রোতে গা ভাসাতে বেশি সময় নিতে চাইছেন না। তালিকাটাও নেহাত ছোট নয়। পরের সপ্তাহে রিলিজ করবে ‘সচিন: আ বিলিয়ন ড্রিমস’। সঞ্জয় দত্তর বায়োপিকের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে আবার সঞ্জয় দত্তর ভূমিকায় অভিনয় করছেন স্বয়ং রণবীর কপূর। সাদাত হাসান মান্টোর বায়োপিকের কাজ প্রায় শেষ। সেটে যাওয়ার অপেক্ষায় কিশোরকুমার ছাড়াও আর ডি বর্মণ, রানি লক্ষ্মীবাঈ, কল্পনা চাওলা, সাইনা নেহওয়ালের বায়োপিক। তবে একটাই চিন্তা,
অতি ‘বায়োপিক’এ আবার ‘বক্সঅফিস’ নষ্ট না হয়!
আরও পড়ুন: আবির-সোহিনীর নতুন ঠিকানা ‘ফ্ল্যাট নং ৬০৯’