Tota Roychowdhury

Tota Roychowdhury: আমার মৃত্যুদৃশ্য দেখবেন না, শাশুড়ি মা তাই চ্যানেল ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন: টোটা

খবর এসেছে, তাঁর জন্য নাকি সমানে ফুঁপিয়ে কেঁদেছেন ৭০ বছরের জনৈক বৃদ্ধা! চিন্তায় পড়েছেন অভিনেতা। অসুস্থ হয়ে পড়বেন না তো ওই প্রবীণা?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:৫৬
Share:

‘শ্রীময়ী’তে টোটার পথ চলা শেষ।

গত ৪৮ ঘণ্টায় স্তব্ধ টোটা রায়চৌধুরী। রোহিত সেনের মৃত্যু দর্শকদের কাছে যেন আত্মীয়-বিয়োগের সামিল!

টোটার কাছে খবর এসেছে, রোহিতের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন আট থেকে আশি। তাঁর জন্য নাকি সমানে ফুঁপিয়ে কেঁদেছেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা! টোটার গলাতেও বিষাদের ছাপ। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে অকপট স্বীকারোক্তি অভিনেতার, এ খবরে তিনি বিচলিত। দুশ্চিন্তা হয়েছিল, অসুস্থ হয়ে পড়বেন না তো ওই প্রবীণা? একই সঙ্গে টোটা বিমূঢ়। ভাবতেই পারেননি, এ ভাবেও তাঁর জন্য অগুন্তি দর্শক চোখের জল ফেলবেন। ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় উঠবে। রোহিতের জন্য কটূক্তি শুনতে হবে ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’-র কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কেও!

মৃত্যুদৃশ্য সম্প্রচারের দু’দিন পরে বৃহস্পতিবার যাবতীয় বিহ্বলতা সরিয়ে ফেসবুকে মুখর টোটা। আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সমস্ত দর্শকদের, যাঁরা রোহিত সেনকে ‘পরিবারের সদস্য’ করে নিয়েছিলেন। অভিনেতার উপলব্ধি, দর্শকদের পাশাপাশি রোহিতের মৃত্যুর শোক ছুঁয়ে গিয়েছে কলাকুশলী, সহ-অভিনেতাদেরও। যা সত্যিই বিরল। সব দেখেশুনে তাঁর মনে হচ্ছে, এতটা ধাক্কা বোধহয় না দিলেই ভাল হত। যদিও কাহিনিকারের কলম নিয়ে কোনও সংশয় নেই টোটার। তাঁর দাবি, ‘‘লীনাদি যা ভাল বুঝেছেন, করেছেন। কারণ, ওঁর কলমের জোরেই রোহিত সেন আজ সবার ঘরের ছেলে।’’

Advertisement

১৫ ডিসেম্বর শেষ শ্যুটের দিনে গোটা ইউনিট মিলে খাওয়াদাওয়া হয়েছে। মনখারাপের কারণে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি টোটা। পোড় খাওয়া অভিনেতা। হয়তো এর আগেও মৃত্যুদৃশ্যে অভিনয় করেছেন। এই ধরনের দৃশ্যে অভিনয় আর কি তাঁর চোখে জল আনে? অভিনীত দৃশ্যের সম্প্রচার দেখে বিশেষ কোনও অনুভূতি জাগে? অভিনেতা আবারও অকপট— ‘‘নিজের মৃত্যুদৃশ্য নিয়ে আমার কোনও অস্বস্তি নেই। খারাপ লাগাও নেই। আমি তো জানি, সবটাই অভিনয়। বরং এটা যদি শ্রীময়ী, দিঠি, ডিঙ্কা বা অন্য কোনও চরিত্রের সঙ্গে ঘটত, আমি হয়তো কেঁদে ফেলতাম।’’ অভিনেতার মতে, তাঁর যাবতীয় খারাপ লাগা দর্শকদের জন্য। যাঁরা প্রতি মুহূর্তে তাঁর জন্য হাহাকার করছেন। চোখের জল ফেলছেন। ফেসবুকে লিখে জানাচ্ছেন। বিষণ্ণতায় ডুবছেন। অনেকে নাকি রোহিত সেনের মৃত্যুর পরে ধারাবাহিক দেখাই বন্ধ করে দিয়েছেন!

আর বাড়ির লোক? তাঁদের কী অনুভূতি? টোটার কথায়, ‘‘ আমার শাশুড়ি মা নিয়মিত ‘শ্রীময়ী’ দেখতেন। তিনি নাকি আঁচ পেয়েই চ্যানেল ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। শাশুড়ি হয়ে জামাইয়ের মৃত্যুদৃশ্য কী করে দেখবেন!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন