তৈমুর! গত ২৪ ঘণ্টায় যে নামটা সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত। কারণ, সইফ আলি খান এবং করিনা কপূরের প্রথম সন্তানের নাম তাঁরা রেখেছেন তৈমুর আলি খান। না! কারণটা শুধুমাত্র এটাই নয়। আরও আছে।
আসলে তৈমুর নামটার সঙ্গে আমাদের অনেকেরই প্রথম পরিচয় স্কুলের ইতিহাস বইতে। দুর্ধর্ষ স্বৈরাচারী শাসক তৈমুর লঙের কথা আমরা সেখানেই প্রথম জানতে পারি। নিজেকে তিনি ‘ইসলামের তরবারি’ বলতেন। তিমুরিদ রাজত্বের এই শাসক ইতিহাসে তামেরলান নামে পরিচিত। ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৪০৫-এ মৃত্যু হয় তৈমুরের। যুদ্ধে এক পা হারিয়ে বাকি জীবন খুঁড়িয়ে হাঁটতেন তিনি। পা হারানোর পর থেকেই ‘তিমুর দ্য লেম’ নামে পরিচিত হন। পার্সিরা তাঁকে ‘তিমুর-ই-লং’ নামে ডাকতেন।
আরও পড়ুন, ছেলের নাম তৈমুরই কেন রাখলেন সইফ-করিনা?
বর্তমান আফগানিস্তান, পারস্য, সিরিয়া, বাগদাদ ও জর্জিয়ার এক বিরাট অংশে সাম্রাজ্য বিস্তার করেন তৈমুর। দখল করেন এশিয়ার একটা বড় অংশও। অবশ্য এ দেশের ইতিহাস তাঁকে বেশি করে মনে রেখেছে ভারত আক্রমণকারী হিসেবে। ১৩৯৮-’৯৯ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তৈমুরের আক্রমণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল দিল্লি। কথিত রয়েছে, তৈমুরের যখনই কোনও এলাকা আক্রমণ করতেন তা লুঠ করে, এলাকা জ্বালিয়ে দিয়ে, মহিলাদের অসম্মান করে, ধ্বংস করে দিয়ে যেতেন। এলাকার পর এলাকা জমি দখল করাই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। ঐতিহাসিক এ এল শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘হিন্দুস্তানের প্রচুর সম্পদ তৈমুরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।’’
এ হেন তৈমুরের নেমসেক সইফ-করিনার ছেলে। ফলে এ নিয়ে তো আলোচনা হবেই। বা বলা ভাল সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, কেন এমন স্বৈরাচারী শাসকের নামে নিজেজের ছেলের নাম রাখলেন সেলেব দম্পতি?
যদিও তৈমুর শব্দের মানে হল ‘লোহা’। সইফ-করিনার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৈমুর লং নন, বরং তৈমুর শব্দের অর্থ মেনেই ছেলের নাম রেখেছেন তাঁরা।