দুই ব্যোমকেশ মুখোমুখি

ব্যোমকেশের পরিচালক বদল। অরিন্দম শীলের জায়গায় বিরসা দাশগুপ্ত। পুজোয় জোড়া ব্যোমকেশ। ব্যোমকেশের পরিচালক বদল। অরিন্দম শীলের জায়গায় বিরসা দাশগুপ্ত। পুজোয় জোড়া ব্যোমকেশ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৯ ০০:০১
Share:

বৃহস্পতিবার আনন্দ প্লাসের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, সব প্রযোজনা সংস্থাই তাদের পুজো রিলিজ় ঘোষণা করে দিয়েছে। ব্যতিক্রম ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। ঠিক তার পরেই সংস্থার পক্ষ থেকে মহেন্দ্র সোনি ঘোষণা করেন, এই পুজোয় তাঁরা ব্যোমকেশ বক্সী নিয়ে আসছেন। টুইটে তিনি ট্যাগ করেছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়কে।

Advertisement

এই টুইট অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। প্রথম, এসভিএফ কেন ব্যোমকেশের পরিচালক হিসেবে অরিন্দম শীলের নামে ঢেরা দিল? দ্বিতীয়, আবীর চট্টোপাধ্যায় এই পুজোয় জিতের সঙ্গে তাঁর প্রযোজনায় ছবি করছেন। সে ক্ষেত্রে কি চুক্তি সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হবে? তবে বড় প্রশ্ন, অরিন্দমের বদলে ব্যোমকেশের পরিচালনা কে করবেন? সূত্রের খবর, এসভিএফ নাকি বিরসা দাশগুপ্তকে ব্যোমকেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। কোন গল্প নিয়ে ছবি হবে, তা চূড়ান্ত নয়। শোনা যাচ্ছে, ‘পথের কাঁটা’কে ভেবেই এগোচ্ছে প্লট।

অরিন্দম ব্যোমকেশ বক্সীর সফল পরিচালক বলেই পরিচিত। নতুন ব্যোমকেশের চিত্রনাট্যও তিনি লিখছিলেন। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত কাহিনি ‘বিশুপাল বধ’ নিয়ে পরের ছবির পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু এসভিএফ-এর তরফে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল, এই পুজোয় তারা ব্যোমকেশ আনবে না। অরিন্দম স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর ছবিটিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাননি। এ বছর ব্যোমকেশ হবে না, এমনটা জানতেন আবীরও। কিন্তু মহেন্দ্র সোনির একটা টুইট সব অঙ্কই উল্টে দিল।

Advertisement

কেন অরিন্দমের বদলে অন্য পরিচালককে নির্বাচন করা হল, সেটাও স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে, সংস্থার বর্তমান পরিস্থিতিতে যে সব পরিচালক অন্যত্র সরে গিয়েছেন, তাঁদের বদলে যাঁরা পাশে রয়েছেন তাঁদের উপরেই আস্থা রাখা হচ্ছে। অরিন্দম এই পুজোয় ক্যামেলিয়ার সঙ্গে মিতিন মাসি নিয়ে আসছেন। যদিও আনন্দ প্লাসকে এসভিএফ আগেই জানিয়েছিল, কারও বিরুদ্ধে তাঁরা বিরূপ মনোভাব পোষণ করছে না। আর কে না জানে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। অরিন্দমকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি জানেন না বলেই এড়িয়ে গেলেন। শুধু বললেন, ‘‘ওদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এত ঠুনকো নয় যে, ছবি করা বা না করা দিয়ে বিচার হবে।’’

এ দিকে সায়ন্তন ঘোষালের পরিচালনায় আরও একটি ব্যোমকেশের ঘোষণা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। যেটি পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে। সেখানে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় মুখ্য চরিত্রে। রুদ্রনীল ঘোষ করছেন অজিতের চরিত্র। অতএব, এ বার পুজোয় আবীর এবং পরমব্রত দুই ব্যোমকেশ মুখোমুখি!

জটিলতা এখানেই শেষ নয়। জিতের প্রযোজনায় পাভেলের ‘অসুর’-এ আবীর এবং জিৎ একসঙ্গে ছবি করছেন। সেই ছবিটিও পুজোয় রিলিজ় করার কথা। আবীর এসভিএফ-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তবে এই ছবির জন্য সংস্থার তরফে ছাড়পত্র দেওয়া হয় আবীরকে। জিতের তরফে শর্ত ছিল, পুজোয় আবীরের আর কোনও ছবি রিলিজ় করবে না। তবে এখনও নাকি কোনও চুক্তি হয়নি। এ বার আবীর কোনটা করবেন, সেটাই এখন দেখার।

প্রাথমিক ভাবে যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে পুজোয় তিন গোয়েন্দা থাকছে। দুই ব্যোমকেশ এবং মিতিন মাসি। আবার দেব নিয়ে আসছেন থ্রিলার ছবি ‘পাসওয়ার্ড’। সে ছবিতেও পরমব্রত আছেন। সুরিন্দর ফিল্মস এখনও পর্যন্ত নিজেদের কোনও ছবি পুজোয় রিলিজ় করছে না বলেই খবর। এসভিএফ-এর তরফে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘গুমনামী’ থাকার কথা। সদ্য ছবির শুট শুরু হয়েছে।

কিন্তু এখানেও একটা চমক রয়েছে। ডিসেম্বরের বদলে এই পুজোয় প্রোফেসর শঙ্কু মুক্তি পাওয়ারও একটা সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, ‘গুমনামী’ কেমন হচ্ছে, সেটা দেখেই নাকি আসল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শঙ্কুর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। এখন শঙ্কু সত্যিই পুজোয় মুক্তি পেলে তা বাকি প্রযোজকদের উপরে চাপ তৈরি করবে বইকি!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন