গ্ল্যামার-সন্ধ্যা বলল আরও এক সাফল্যের কাহিনি

অন্ধকার মঞ্চের মাঝখানে একে একে জড়ো হচ্ছিলেন ওঁরা দশ জন। তখনও অপেক্ষা করে থাকা দর্শকদের গুনগুন কথা কানে আসছে। হঠাৎ স্পটলাইট, আর মুহূর্তে নিশ্চুপ দর্শক। মঞ্চে মায়াবী আলো ছড়িয়ে পড়তেই অন্ধকার চিরে এক লহমায় ঝলসে উঠলেন দশ জন। রিলায়্যান্স ট্রেন্ডস প্রেজেন্টস উনিশ কুড়ি গ্ল্যাম হান্ট ২০১৪-এর চূড়ান্ত পর্বের দশ প্রতিযোগী।

Advertisement

মৌমিতা করগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:১৮
Share:

‘রিলায়্যান্স ট্রেন্ডস প্রেজেন্টস উনিশ কুড়ি গ্ল্যাম হান্ট ২০১৪’-র দুই বিজয়ী পিয়াম সরকার এবং সোমরাজ মাইতির সঙ্গে বিচারক ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, নুসরত জাহান, শমীক হালদার এবং রাজা চন্দ। সোমবার স্বভূমিতে প্রদীপ আদকের তোলা ছবি।

অন্ধকার মঞ্চের মাঝখানে একে একে জড়ো হচ্ছিলেন ওঁরা দশ জন। তখনও অপেক্ষা করে থাকা দর্শকদের গুনগুন কথা কানে আসছে। হঠাৎ স্পটলাইট, আর মুহূর্তে নিশ্চুপ দর্শক। মঞ্চে মায়াবী আলো ছড়িয়ে পড়তেই অন্ধকার চিরে এক লহমায় ঝলসে উঠলেন দশ জন। রিলায়্যান্স ট্রেন্ডস প্রেজেন্টস উনিশ কুড়ি গ্ল্যাম হান্ট ২০১৪-এর চূড়ান্ত পর্বের দশ প্রতিযোগী।

Advertisement

দুধসাদা পোশাকে প্রথম পারফর্ম্যান্সেই ওঁরা বুঝিয়ে দিলেন এই মঞ্চে পা রাখতে গেলে শর্ত একটাই আত্মবিশ্বাস। সোমবার, স্বভূমির রঙ্গমঞ্চে অনুষ্ঠান যত এগিয়েছে, আরও দৃপ্ত হয়ে উঠেছেন প্রত্যেক প্রতিযোগী। ‘ফরমাল ইন্ট্রোডাকশন রাউন্ডে’ একের পর এক তরুণ চোখে স্বপ্ন ঝরে পড়ল। কেউ সুপারমডেল হয়ে খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছতে চান, কেউ দেখিয়ে দিতে চান ছোট শহর থেকে এসেও বড় কিছু করে দেখানো যায়।

ডিজাইনার প্রণয় বৈদ্যর তৈরি পোশাকে ‘ইন্ডিয়ান ওয়্যার’ রাউন্ডে যখন এক এক করে প্রতিযোগী পা রাখতে শুরু করলেন মঞ্চে, তখন মুগ্ধতার রেশ ছড়িয়ে গিয়েছে বিচারকের আসনে বসে থাকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, নুসরত জাহান, রাজা চন্দ ও শমীক হালদারের চোখেও। লাল-নীল-কালো লহেঙ্গার পাশাপাশি মুঘল ধুতি-কুর্তায় কয়েক মিনিটের জন্য মঞ্চ যেন হয়ে উঠল রাজ দরবার।

Advertisement

হাততালির আওযাজ ফিকে হওয়ার আগেই ফের চমক ‘ককটেল ওয়্যার’ রাউন্ডে। তেজস গাঁধীর তৈরি পোশাকে মঞ্চে দৃপ্ত ভঙ্গিমায় প্রতিযোগীদের হেঁটে আসা বুঝিয়ে দিল গত এক মাসের গ্রুমিং সেশন-এর পরে তাঁরা এখন ‘প্রোফেশনাল’। মাঝখানে অনুপম রায়ের গান হঠাৎ এক টুকরো বসন্তের বাতাস বইয়ে দিল। নাচের রিদ্ম আর এনার্জিতে তাক লাগিয়ে দিলেন জয় মুখোপাধ্যায়ও। আর ছোট ছোট মজায় গোটা অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখলেন সঞ্চালক মীর।

সবশেষে ছিল বেছে নেওয়া পালা। প্রতিযোগীদের মধ্যে পার্থক্য ছিল উনিশ-বিশ। তবু সেরার সেরাকেই বেছে নিলেন বিচারকেরা। গ্ল্যাম কুইনের মুকুট উঠলো পিয়াম সরকারের মাথায়, আর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সোমরাজ মাইতি ছিনিয়ে নিলেন গ্ল্যাম কিং-এর শিরোপা। মঞ্চ জুড়ে তখন শুধুই গ্ল্যামারের দ্যুতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন