কোন খাবারের সঙ্গে কোন খাবার মিশিয়ে খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
কোনও কোনও খাবার একার থেকেও দোকায় ভাল। দু’টিই স্বাস্থ্যকর খাবার, কিন্তু জোড়ায় খেলে তার উপকারিতা বেড়ে যায় অনেকাংশে। ভারতীয় রন্ধনসংস্কৃতি এবং শিল্পের শিকড়ে রয়েছে এই প্রবণতা। একটি খাবারের সঙ্গে আর একটির সংমিশ্রণে পদগুলি আরও পুষ্টিকর হয়। স্বাদ, হজমশক্তি পুষ্টির শোষণ— সব উন্নত করার উদ্দেশ্যেই এই অভ্যাস রয়েছে। তবে সেই অভ্যাস হারিয়ে যেতে বসেছে নতুন যুগে।
বেঙ্গালুরুর পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্ডো তাঁর সাম্প্রতিক এক পোস্টে কয়েকটি খাবারের যুগলের উল্লেখ করেছেন, যা স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক ক্ষেত্রে কয়েকটি খাবার একসঙ্গে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। সঠিক পুষ্টি উপাদানগুলি একসঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে, শরীরের পুষ্টিগুণের শোষণের ক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে শক্তি, হজমক্ষমতা, হরমোন ইত্যাদিরও মাত্রা ও সক্রিয়তা বজায় থাকে।’’
কোন খাবারের সঙ্গে কোনটি খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
খাবারের কোন কোন জোড়ার কথা বলছেন পুষ্টিবিদ?
মধু ও দারচিনি: ইনসুলিন রেসপন্সকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয় এই দুই খাবারের যুগলবন্দিতে। প্রদাহ কমিয়ে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি ও লেবু: ক্যাটেচিন নামক এক ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে গ্রিন টি-তে। এই চায়ের সঙ্গে লেবু মেশালে ভিটামিন সি-র সাহায্যে শরীর সেই ক্যাটেচিনের শোষণ বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে চর্বি গলার কাজ দ্রুত হতে পারে।
শসা ও পুদিনা: ইলেক্ট্রোলাইটে ভরপুর এই যুগলবন্দি শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, প্রাকৃতিক ভাবে দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বার করে দেয়।
পিনাট বাটার, দারচিনি ও আপেল: কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং ফাইবারের মেলবন্ধনের ফলে শরীরে নানাবিধ সুফল মেলে। খাবার খাওয়ার পর রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার যে ঝুঁকি তৈরি হয়, তাকে কমিয়ে দিতে পারে এই তিন খাবার।
কলা ও চিয়া বীজ: প্রিবায়োটিক এবং ফাইবারের এই সংমিশ্রণ অন্ত্রের উপকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে পুষ্টির জোগান দেয়। ফলে হজমের ক্ষমতা উন্নত হয় অনেকাংশে। তা ছাড়া শরীরে সারা দিন শক্তির জোগান থাকে।