১৯ বছর আগে, ১৯৯৮ সালের ১৬ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিল ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। শাহরুখ-কাজল-রানির এই ছবি তার ‘টিনেজ’ পার করল সোমবার।
ছবির চরিত্রগুলি নব্বইয়ের দশকে বেশ কয়েকটি ট্রেন্ড সেট করেছিল যা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। যেমন, ফ্রেন্ডশিপ ডে’র কনসেপ্ট সবার কাছে পরিচিত হয়েছিল এই ছবি দেখেই।
ছবিতে কাজলের চরিত্র ও শাহরুখের মেয়ের নাম ছিল অঞ্জলি। কর্ণ জোহরের এই ছবি দেখার পর অনেকেই তাঁদের কন্যাসন্তানের নাম রাখতে শুরু করেছিলেন অঞ্জলি।
‘রাজা কি আয়েগি বারাত’-এর পর রানির কেরিয়ারের মাইলস্টোন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। টিনার চরিত্রে অভিনয়ের সময় মাত্র উনিশ বছর বয়স ছিল রানি মুখোপাধ্যায়ের।
আমান-এর চরিত্রে সলমন খান অভিনয় করে ফিল্মফেয়ারে সেরা সহ-অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন। যদিও পরিচালক কর্ণ জোহরের প্রথম পছন্দ ছিলেন সইফ আলি খান। কিন্তু সইফ রাজি হননি।
‘ইয়ে লড়কা হ্যায় দিওয়ানা’ গানের শুটিংয়ের সময় গুরুতর জখম হয়েছিলেন কাজল। সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে নিজের স্মৃতিশক্তি প্রায় হারাতে বসেছিলেন তিনি।
জনপ্রিয় আর্চি কমিক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছিল। ‘তুম পাস আয়ে’ গানের সুর তৈরি করেছিলেন অভিনেতা যুগল হংসরাজ।
জুনিয়র অঞ্জলি সানা সইদকে নাকি আজও অনেকেই অঞ্জলি বলে ডাকেন। অভিনেত্রী নিজেই একটি অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছিলেন।
ছবির ক্লাইম্যাক্সের কান্নাকাটি শাহরুখের খুব একটা পছন্দ ছিল না। ছবিতে টিনার (রানি) মৃত্যুর দৃশ্য রাখার জন্য কর্ণকে নাকি কাজলই অনুরোধ করেছিলেন।
ছবির ছোট সর্দার অভিনেতা পরজান দস্তুরের ‘তুসসি যা রহে হো, তুসসি না যাও’ ডায়লগ আজও সমান জনপ্রিয়। তবে তার এই ডায়লগের ডাবিং করেছিল অন্য এক শিশু অভিনেতা। তার নাম কাইভেল্লা ছিডা।