সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আদতে কেমন? ছবি: ফেসবুক।
শেখর সমাদ্দারের লেখা নাটক ‘সরলরেখা বক্ররেখা’র প্রতি লোভ ছিল তাঁর। ওই নাটকে অভিনয় করবেন বলে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক ছেড়েছেন! দেবাশিস রায় পরিচালিত নাটকের অন্যতম চরিত্র ‘লেখক সুপ্রকাশ মিত্র’কে বোঝাতে গিয়ে বাস্তব জীবনের উদাহরণ দিলেন অভিনেতা সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নাটকটি মঞ্চস্থ হবে।
এক ঝড়জলের সন্ধ্যায় লেখক সুপ্রকাশ মিত্র নিজের বাড়ির দরজার সামনে একটি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ দেখেন। ভয়ে, উৎকণ্ঠায় দেহটিকে সঙ্গে সঙ্গে লুকিয়ে ফেলতে যান তিনি ও তাঁর স্ত্রী। সুপ্রকাশের তিন বন্ধু-- একজন পুলিশের বড়কর্তা, একজন রাজনৈতিক নেতা আর একজন ব্যবসায়ী। তাঁরাও ঠিক তখনই এসে উপস্থিত! ঘটনাচক্রে জটিল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সুপ্রকাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ছোটপর্দা হোক বা বড়পর্দা— সুরজিৎ বরাবর ইতিবাচক চরিত্রে। ‘লেখক সুপ্রকাশ মিত্র’ যে সম্পূর্ণ বিপরীত!
তখনই আনন্দবাজার ডট কম-এর সঙ্গে বাস্তব জীবনের একটি উদাহরণ তুলে ধরেন সুরজিৎ। তাঁর যুক্তি, “স্বর্গ-নরক মানুষের মধ্যে রয়েছে। কেউ শুধু ভাল বা শুধু খারাপ হতে পারে না! যেমন, পুরুষ নারীর প্রতি লুব্ধ হয়। আবার সেই পুরুষই নিজের মনকে লাগাম পরায়।” কথাপ্রসঙ্গে তাঁর উদাহরণ, “একবার ভিড় মেট্রো রেলে উঠেছি। প্রচণ্ড চাপাচাপিতে এক সুন্দরীর শরীরের স্পর্শ আমার শরীরে। ওই মহিলা লজ্জা পেয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন। আমিও পাল্টা দুঃখপ্রকাশ করি। কিন্তু, সত্যিই কি শুধুই দুঃখ পেয়েছিলাম?”
অভিনেতার উপলব্ধি, তিনি মনকে শাসন করে লাগাম পরাতে পেরেছিলেন, যাতে কোনও বিকৃতকাম তাঁর মধ্যে জেগে না ওঠে। তখনই বুঝতে পেরেছিলেন, বাস্তবে তিনিও ‘ধূসর চরিত্র’-এর। তিনিও ভাল-মন্দে মেশানো রক্তমাংসের জীব। এই অভিজ্ঞতা তিনি ‘সরলরেখা বক্ররেখা’য় ব্যবহার করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ব্রাত্য বসুর লেখা ‘বিকেলে ভোরের সর্ষে ফুল’ নাটকেও সুরজিৎ ‘সাহিত্যিক অনিরুদ্ধ’। নাটকে সেই সাহিত্যিক অসময়ে বন্ধু-কন্যার প্রেমে পড়েছিলেন। সুরজিতের কথায়, “লম্বা ব্যবধানে শেখরদার এই নাটকে আরও একবার একই অঙ্গে আমি ভাল আবার খারাপ।”