(বাঁ দিক থেকে) তিয়াসা লেপচা, ঊষসী রায় এবং পারিজাত চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত।
গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সবার। সামান্য বৃষ্টি হতে না হতেই গরমে। এক মিনিট বাইরে বেরোনো কঠিন হয়ে পড়ে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা—আবহাওয়া যা পরিবর্তনই হোক না কেন ছোট পর্দার অভিনেতা অভিনেত্রীদের কোনও ছুটি নেই। ধারাবাহিকের শুটিং মানেই দিনে ১৪ ঘণ্টা বা তারও বেশি কাজ। মাসে এক দিন ছুটি। সব সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টুডিয়োতেই শুটিং হয়, তেমন নয়। দৃশ্যের প্রয়োজন অনুযায়ী অভিনেতাদের রাস্তাঘাটেও শুটিং করতে হয়। এরই পাশাপাশি ক্যামেরার সামনে যাতে দেখতে সুন্দর লাগে তাই কড়া ডায়েটে থাকতে হয় তাঁদের। এই সময় নায়িকাদের জন্য যেন বেশি কঠিন পরিস্থিতি। কারণ, গরমে নিজেদের মেক আপও যেমন খেয়াল রাখতে হয় তাঁদের। সেই সঙ্গে মাথায় রাখতে হয় যেন নিজের চেহারাও ক্যামেরার জন্য ঠিক থাকে। এই সময় ঠিক কী কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন তাঁরা? প্রতিদিনের ডায়েটে কোন খাবারটি আবশ্যিক তাঁদের কাছে?
গরমে খাওয়া দাওয়ার প্রসঙ্গে রোশনাই, জোনাকি, শুভলক্ষ্মী এক বাক্যে জানিয়েছেন শরীরকে ঠান্ডা করে এমন সব ধরনের খাবার খাচ্ছেন তাঁরা। খাওয়া দাওয়া নিয়ে অনিয়ম করতে বিন্দুমাত্র রাজি নন তাঁরা। দীর্ঘ ক্ষণ কাজ করতে গেলে নিজেকে সুস্থ রাখা খুব কঠিন ব্যাপার। তাই রেস্তরাঁর খাবার খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন অভিনেত্রীরা।
রোশনাই ওরফে তিয়াসা লেপচা জানালেন, তিনি কোনও ভাবেই বাইরের খাবার খাচ্ছেন না। যদিও একান্তই ইচ্ছা হয় তা হলে নিজে রান্না করে খাচ্ছেন। আর পরিমিত জল পান করছেন।
নিজেকে সুস্থ রাখার একটাই অস্ত্র ‘জোনাকি’ পারিজাত চৌধুরীর— ডায়েটে ডাবের জল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিনেত্রী বললেন, “ডাবের জল খাচ্ছি। এমনিতেই বাড়ির খাবার ছাড়া আমি খাই না। আর বেশি করে ফল খাচ্ছি। জলের অভাব মেটাচ্ছে ফল। দুপুরে যদি আম খাই তা হলে অন্য কিছু খাই না। ক্যালোরির কথাও তো মাথায় রাখতে হবে।” ঊষসী রায় বরাবরই বাড়ির খাবার স্টুডিয়োয় নিয়ে যান। ‘গৃহপ্রবেশ’-এর সেটেও তার অন্যথা হচ্ছে না। অভিনেত্রী বললেন, “এ সময় জল তো বেশি করে খাচ্ছিই। এখন উপলব্ধি করেছি জল কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আর তেল, ঝাল, মশলা একেবারে বন্ধ। না হলে সুস্থ থাকা বেশ কঠিন।”
তবে শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে যে এই টোটকা প্রযোজ্য তেমনটা নয়। গরমে সুস্থ থাকতে হলে সাধারণ মানুষেরও এমন কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন।