Mahesh Bhatt

রাতে অন্য পরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে হোটেলে যান ‘প্রেমিকা’, সেই পাক অভিনেত্রীকে চড় মারেন মহেশ!

এক দশক আগে, মহেশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন পাক অভিনেত্রী। তাঁকে চড় মেরেছিলেন মহেশ! এমনকি, তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতনও চালিয়েছিলেন বলে মহেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৩৯
Share:

মহেশ-মীরার সম্পর্ক ঘিরে চর্চা চলেছিল। ফাইল চিত্র।

বিতর্ক আর মহেশ ভট্ট, যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বলিউডের অন্যতম সফল পরিচালকের কিস্‌‌সা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। পরিচালকের জন্মদিনে এমনই এক বিতর্ক আরও এক বার চর্চায় এল। পাকিস্তানি অভিনেত্রী মীরার সঙ্গে ‘ভট্ট সাহেবে’র ‘রিস্তা’ আলোড়ন ফেলেছিল বলিপাড়ায়। সেই সম্পর্ক পরে তিক্ততায় পরিণত হয়েছিল।

Advertisement

এক দশক আগে, মহেশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন পাক অভিনেত্রী। তাঁকে চড় মেরেছিলেন মহেশ! এমনকি, তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতনও চালিয়েছিলেন বলে মহেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মীরা। ২০১১ সালে এক সাক্ষাৎকারে মীরার এই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, মহেশ ভট্টের পরিচালনায় ‘নজর’ ছবির হাত ধরে বলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন মীরা।

কী অভিযোগ করেছিলেন মীরা?

Advertisement

বলিউডে কাজ না করা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ছত্রে ছত্রে মহেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পাক অভিনেত্রী। একটি ইংরাজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মীরা বলেছিলেন, ‘‘ছবির কাজ বন্ধ করা আমার সিদ্ধান্ত ছিল না। ভারত থেকে আমাকে চলে যেতে বলেছিলেন মহেশজি। আমার নাম-যশ হোক, তা চাননি উনি। অন্য পরিচালকদের সঙ্গে আমি কথা বলি, কখনই মেনে নেননি তিনি। এক বার আমাদের ঝগড়া হয়েছিল। পরে মহেশজি ক্ষমা চেয়েছিলেন।’’ এর পর মীরা আরও বলেন, ‘‘এই ঝগড়ার পর মহেশজি বলেছিলেন, তোমার সমস্যা সামলাতে পারব না। পাকিস্তানে ফিরে যাওয়াই তোমার জন্য শ্রেয়। সেই মতো আমি পাকিস্তানে যাই। কিন্তু যখন ভারতে ফিরতে চাইলাম, আর পারলাম না। বলিউডে ফেরার সব রাস্তা তত দিনে উনি বন্ধ করে দিয়েছেন।’’

মহেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছিলেন মীরা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার প্রতি ওঁর অধিকারবোধ ছিল। অন্য পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলি, তা কখনই মেনে নিতে পারতেন না। রাম গোপাল বর্মা, মণিরত্নম, সুভাষ ঘাইয়ের মতো বড় বড় পরিচালকের থেকে কাজের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। উনি তা ভাল ভাবে নেননি। ওঁর ব্যানারেই শুধু কাজ করি, এটাই চেয়েছিলেন। এক রাতে হোটেলে সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এ কথা জানার পর মহেশজি এতটাই রেগে গেলেন যে, আমায় দু’তিন বার চড় মারেন। খুব চিৎকার করেছিলেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন