পরিবার পাশে নেই আরাত্রিকা মাইতির? ছবি: ফেসবুক।
সাল ২০২২। ধারাবাহিক ‘খেলনা বাড়ি’ দিয়ে অভিনয়দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন আরাত্রিকা মাইতি। ২০২৫-এ তিনিই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে অভিনয় করছেন! তাঁকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জনও মন্দ নয়।
তালিকায় কখনও আর্য দাশগুপ্ত। কখনও অভিষেক বীর শর্মা আবার দিব্যজ্যোতি দত্ত।
লক্ষ্মীপ্রিয়া সাজে আরাত্রিকা, দিব্যজ্যোতি চৈতন্যদেব। ছবি: ফেসবুক
সম্প্রতি, আরাত্রিকা আনন্দবাজার ডট কম-এর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, প্রেম নয়, পেশাজীবনে উন্নতি করাই তাঁর ‘পাখির চোখ’। যদিও নিন্দকদের দাবি, বর্তমান ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’র নায়ক অভিষেকের সঙ্গেই তিনি লুকিয়ে প্রেমে মগ্ন! সেই জন্যই নাকি প্রেম ভেঙেছে আর্যের সঙ্গে। কিছু জনের দাবি, সৃজিতের ছবিতে ‘চৈতন্যদেব’ দিব্যজ্যোতির বিপরীতে ‘লক্ষ্মীপ্রিয়া’ চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়েই নাকি নায়িকার মন উড়ুউড়ু।
এ দিকে একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, আরাত্রিকার জন্মদিনে পোলারাইড ক্যামেরা উপহার দিয়েছেন অভিষেক। মন্দারমণিতে চ়ড়ুইভাতি করতে গিয়েছিলেন ছোটপর্দার একটি বড় অংশ। সেখানেই জন্মদিন উদ্যাপনের ফাঁকে একান্তে সময় কাটাতে দেখা যায় যুগলকে। সেই ভিডিয়ো ভাগ নিজেই ভাগ করে নিয়েছেন আরাত্রিকা।
অভিষেক বীর শর্মার সঙ্গে আরাত্রিকা মাইতি। ছবি: ফেসবুক
প্রেমের গুঞ্জন নতুন করে মাথাচাড়া দিতেই ফের তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিল আনন্দবাজার ডট কম। প্রকৃত ঘটনা কী?
প্রশ্ন রাখতেই আরাত্রিকার আফসোস, “সবাই আমার প্রেমজীবন সম্পর্কে জানতেই আগ্রহী। কেউ জানেন না, মা-বাবা ছাড়া যৌথ পরিবারের কেউ আমার পেশাজীবনকে সমর্থন করেন না! না উৎসাহ জানিয়েছেন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দারা। অথচ, একই অ়ঞ্চলের অন্যান্য অভিনেত্রীদের প্রতি তাঁরা প্রচণ্ড ইতিবাচক! প্রকাশ্যে তাঁদের সমর্থনও করা হয়।” অভিনেত্রী আরও আক্ষেপ করেছেন। বলেছেন, “আমার পরিবার যৌথ। বাড়িতে আরও অনেক সদস্যের বাস। অভিনয় করব শুনে বাকিরা বলেছিলেন, ‘খুব নোংরা জায়গায় কাজ করতে যাচ্ছিস।’ তিন নম্বর ধারাবাহিকের মাথায় বড়পর্দায় সুযোগ পেলাম। বড়দিন সেই ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। মা-বাবা ছাড়া কেউ পাশে নেই!”
অভিনেত্রীর মতে, অনেক ঝুঁকি নিয়ে প্রতি দিন তাঁদের কাজ করতে হয়। তাই এলাকার মানুষ, পরিবার পাশে থাকলে তাঁরাও কাজে উৎসাহ পান। যেমন, ‘জোয়ার ভাঁটা’ ধারাবাহিকের ট্রেলারে অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। উঁচু জায়গা থেকে ঝাঁপ দিতে হয়েছিল। একই ভাবে ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে পরপর সাতটি নৌকো পেরোতে হয়েছিল। নৌকোর গলুইয়ে কাঠের পাটাতন ভাঙা। চিত্রগ্রাহকের পা কেটে রক্তারক্তি। আরাত্রিকার কথায়, “ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমার কিছু হয়নি। পরিবারের এ সবে ভ্রূক্ষেপ নেই।”