Entertainment News

জবার মধ্যে কাকে দেখেন ধারাবাহিকের দর্শকরা?

Advertisement

মৌসুমী বিলকিস

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৯ ১৫:২৯
Share:

‘জবা’র লুকে পল্লবী শর্মা।

‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিক। ছেলেমেয়ে অনেক বড় হয়ে যাওয়ার পর নায়িকা জবা আবার মা হতে চলেছেন। তা নিয়ে জবা-পরমের সংসারে চলছে টানাপড়েন। এ দিকে এক হাজার এপিসোড অতিক্রম করল ধারাবাহিকটি। কী ভাবছেন জবা মানে পল্লবী শর্মা?

Advertisement

পল্লবী বললেন, “এখানে প্রত্যেকের সঙ্গে ইন্ডিভিজুয়াল জেলটা ভীষণ ভাল। যেটা আমার মনে হয়, অন স্ক্রিন ফুটে ওঠে। এখন তো একান্নবর্তী পরিবার আমাদের আশেপাশে খুব একটা দেখা যায় না... তো আমাদের পরের জেনারেশনকে সিরিয়াল দেখেই একান্নবর্তী পরিবার চেনাতে হয়। দর্শকরা এই ধারাবাহিকের ফ্যামিলি বন্ডিং দেখতে খুব পছন্দ করে। এই কারণেই ‘কে আপন কে পর’ হয়তো এতটা পথ চলতে পেরেছে এবং ভবিষ্যতেও আরও অনেক পথ চলা বাকিও আছে।”

জবা কনসিভ করেছে? জবা শেয়ার করলেন, “এখন আমার আর পরমের ঠাম্মা-দাদু হওয়ার সময়। কিন্তু জবা কনসিভ করেছে। বাড়ির প্রত্যেকের মেনে নিতে খুব অসুবিধা এবং সমাজ তো রয়েইছে। এত দিন জবা বাইরের লোকেদের সঙ্গে লড়াই চালিয়েছে। এই প্রথম সে কাছের মানুষ, এমনকি নিজের সন্তানদের সঙ্গে লড়াই করছে। এটা জবার পক্ষে অনেক বেশি টাফ।”

Advertisement

আরও পড়ুন, হায় আল্লা, এটা কী করে করব: জয়া আহসান

ধারাবাহিকে এ রকম কাহিনি না দেখলেও ‘বধাই হো’ ফিল্মে প্রায় এরকম একটা বিষয় দেখা গেছে। পল্লবী জানালেন, ‘বধাই হো’ ফিল্মে নীনা গুপ্তার কনসিভ করার পিছনে সে ভাবে কোনও কারণ ছিল না। জবার কনসিভ করার পিছনে নির্দিষ্ট কারণ আছে। কিন্তু দর্শকরা জানলেও ফ্যামিলির কেউ কারণটা জানে না।”

আরও পড়ুন, একান্তে রাহুল-সায়নী! কিন্তু কেন?

ধারাবাহিকের নায়ক পরম মানে বিশ্বজিৎ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বললেন, “মেয়েকে বলা যাচ্ছে না যে ওর ক্যানসার হয়েছে, ফলত ভুল বোঝাবুঝি চলছে। এই লড়াইটা লড়তে হচ্ছে জবা ও পরমকে।”

ধারাবাহিকের গল্পকার এবং প্রোডিউসার সুশান্ত দাস যোগ করলেন, “জবার মেয়ে যে হেতু জটিল রোগে আক্রান্ত। মেয়েকে সুস্থ করার জন্য জবা-পরমের সন্তানের বোন ম্যারো লাগবে। তাই মেয়ের জন্যই জবা কনসিভ করেছে আবার।”


ধারাবাহিকের দৃশ্যে জবা এবং পরম।

ধারাবাহিকটি এতদিন চলার কারণ কী বলে তিনি মনে করেন? সুশান্ত বললেন, “একটা ধারাবাহিক যখন শুরু হয় তখন আর্টিস্ট থেকে টেকনিশিয়ান্স আমরা সবাই চাই ধারাবাহিক চলুক। প্রোডিউসারের যেমন লাভ হয় তেমন টেকনিসিয়ান্সরা খেয়েপরে বাঁচে, আর্টিস্টদেরও লাভ হয়। ধারাবাহিক চলা মানে গল্পটা দর্শকের কাছে পৌঁছায়... আমাদের তৈরি করা চরিত্র, গল্প মানুষ দেখছেন এবং তাঁদের ভালো লাগছে। দূর দুরান্তের মানুষ এখনও জবা-পরমকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। সেটা ভালো লাগার জায়গা তো বটেই। ধারাবাহিকের এক হাজার পর্ব অতিক্রান্ত। আমার ধারণা আরও কিছুদিন চলবে।”

আরও পড়ুন, দেবকে বিশেষ একটি কারণে ‘ভালবাসি’ বলেছেন রুক্মিণী!

পরমও এ বিষয়ে উচ্ছ্বসিত। বললেন, “জবার মধ্যে দর্শক নিজেদের লড়াই খুঁজে পান। জবার পাশে পান পরমকেও। সেজন্যই হয়তো তাঁরা ধারাবাহিকটি দেখতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে আমাদের টিমওয়ার্ক এতো ভালো, সেটাও সাফল্যের অন্যতম কারণ।”

ধারাবাহিকের পরিচালক কমলেশ বিশ্বাস সাফল্যের কারণ হিসেবে বললেন, “এই সিরিয়ালে এমন একটা মেসেজ আছে যেটা অন্য সিরিয়ালের থেকে স্বতন্ত্র। মানুষ যদি খুব সাধারণ অবস্থায় থেকেও লড়াই করে এবং নিজের কনফিডেন্স থাকে তা হলে যে কোনও মানুষের পক্ষে যে কোনওকিছু অ্যাচিভ করা অসম্ভব নয়। জবার মধ্য দিয়ে এই মেসেজটাই পেয়েছেন দর্শক, যে প্রথমে আশ্রিতা ও নিরক্ষর ছিল সে-ই এখন সফল আইনজীবী।”

(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্স অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা -বিনোদনের সব খবর আমাদের বিনোদন বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন