Kumar Shanu

কী ভাবে কুমার শানু হয়ে উঠলেন হোটেলে গাওয়া বাঙালি ছেলে কেদারনাথ? কে বদলালেন নাম?

বাঙালি ছেলের মুম্বই জয়ের কাহিনি চমকপ্রদ। কিন্তু কেদারনাথ কী ভাবে কুমার শানু হলেন? সে কথা অনেকেরই জানা নেই। কুমার শানু নামটাই লোকমুখে জনপ্রিয়। ছায়ায় ঢেকেছেন কেদারনাথ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩ ১৫:৩৯
Share:

প্রথম সারির সব নায়কের জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি, কিন্তু লড়াই করতে হয়েছে শানুকে। —ফাইল চিত্র

কেদারনাথ ভট্টাচার্য বললে খুব বেশি লোক চিনবেন না তাঁকে। কিন্তু কুমার শানু বললেই চোখে ভাসবে নব্বইয়ের দশকের ‘মেলোডি কিং’-এর ছবি। হিন্দি সিনেমাকে বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন শানুই। ‘নজ়র কে সামনে জিগর কে পাস’, ‘চুরা কে দিল মেরা’-র মতো বহু গান গেয়ে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন তিনি।

Advertisement

বাঙালি ছেলের মুম্বই জয়ের কাহিনিও চমকপ্রদ। কিন্তু কেদারনাথ কী ভাবে কুমার শানু হলেন? সে কথা অনেকেরই জানা নেই। কুমার শানু নামটাই লোকমুখে জনপ্রিয়। ছায়ায় ঢেকেছেন কেদারনাথ।

কলকাতা এবং মুম্বইয়ের হোটেলে গাইতেন তিনি। জগজিৎ সিংহের মাধ্যমে তাঁর যোগাযোগ হয় বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক জুটি কল্যাণজি-আনন্দজির সঙ্গে। তাঁরা মুম্বইয়ের সম্মুখানন্দ প্রেক্ষাগৃহে একটি অনুষ্ঠানে সুযোগ দিয়েছিলেন কেদারনাথকে। সঙ্গে দিয়েছিলেন এক মোক্ষম পরামর্শ। শানু বলেন, “কল্যাণজি-আনন্দজি মনে করতেন, বাঙালি শিল্পীদের উর্দু উচ্চারণ ভাল নয়। তাঁদের মনে হয়েছিল, আমার উর্দু উচ্চারণ যথেষ্ট ভাল, তবে ভট্টাচার্য পদবিটা আমার গায়ে বাঙালির যে তকমা সেঁটে দেবে, সেটা মুম্বইতে আমার কেরিয়ারে সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই ওটা বদলে দেন তাঁরা। তাঁরাই আমার নাম রাখেন কুমার শানু।”

Advertisement

গায়ক আরও বলেন, “শানু ছিল আমার ডাকনাম। আসলে ছিল ছানু, যেটা এসেছিল ছানা (মিষ্টি জাতীয় খাবার) থেকে। আমি খুব গোলগাল চেহারার ছিলাম। তাই বাড়িতে সবাই আমায় ছানা বলত। সেখান থেকেই ছানু আর শেষমেশ শানু।”

৩৫ বছর হয়ে গেল তাঁর বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। প্রথম সারির সব নায়কের জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু লড়াই করতে হয়েছে শানুকে। কলকাতাতেও প্রথমে স্বীকৃতি পাননি তিনি। আশির দশকে হোটেলে গান গেয়ে কিছু টাকা উপার্জন করতেন।

গায়ক বলেন, “হোটেলে গান গেয়ে যে টাকা পেতাম, তাই দিয়ে ক্যাসেট বানিয়ে সঙ্গীত পরিচালকদের কাছে দিতাম কাজ পাওয়ার আশায়। কিন্তু তাঁরা আমায় ফিরিয়ে দিতেন। তাঁরা বলতেন, আমি কিশোর কুমারের মতো গাই।”

শানুর কথায়, “তাঁরা বলতেন, কিশোরদাই তো বেঁচে আছেন। তাঁকে দিয়েই গাওয়াব। তোমায় নেব কেন?”

গুলশন কুমার প্রথম শানুর প্রতিভা বুঝতে পারেন। মুম্বইয়েও হোটেলে গেয়েছেন তিনি। শানু জানান, গুলশনের কোম্পানিতে তিনি কভার সং গাইতেন। ‘জিনা তেরি গলি মে’ ছবিতে দুটো গান গাওয়ার সুযোগ পান। গান দুটো সুপারহিট হয়। সেখান থেকেই ‘আশিকি’-তে গাওয়ার সুযোগ আসে শানুর।

সেই থেকে সাড়ে তিন দশক ধরে গান গাইছেন শানু। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শিল্পীকে। তিনি জানান, ছাব্বিশটি ভাষায় একুশ হাজার গান গেয়েছেন। যে গতিতে এগোচ্ছেন, এই বছরের শেষেই বাইশ হাজার গানের গণ্ডি টপকে যাবেন বলে আত্মবিশ্বাসী শানু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন