Shobdo Jobdo 2025

বাংলা শব্দের সমৃদ্ধিতে, মাতৃভাষার মর্যাদা ফেরাতে অভিনব উদ্যোগ ‘শব্দ-জব্দ’, লিখছেন শিক্ষিকা দেবপ্রিয়া রায়

যখন শুনি কলকাতার বাংলাভাষী মেধাবী শিক্ষার্থীরা স্পোকেন ইংলিশ ক্লাসে যাচ্ছে। কারণ কী? বাংলা টাংলা তো ঠিক আছে, বাড়ির লোকজনের জন্য যেখানে আবেগ, অনুভূতি, মূল্যবোধ তৈরি হয়।

Advertisement

এবিপি ডিজিটাল কনটেন্ট স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ১৭:৩৯
Share:

প্রতীকী চিত্র (ইনসেটে: শিক্ষিকা দেবপ্রিয়া রায় )।

বাংলা ভাষা শুধু একটি যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি বাঙালির ইতিহাস, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একুশের রক্তস্নাত আন্দোলন থেকে শুরু করে নোবেলজয়ী সাহিত্য সৃষ্টির গৌরব—বাংলা ভাষা ধারণ করে আছে সংগ্রাম, ভালবাসা ও সৃজনশীলতার অমলিন ছাপ। এই ঐতিহ্য ও গৌরবকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে আনন্দবাজার ডট কম আয়োজন করেছে ‘শব্দ জব্দ’, যা বুদ্ধি, শব্দের কৌশল ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলা ভাষার প্রতি ভালবাসা ও সচেতনতা জাগিয়ে তুলছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

Advertisement

শিক্ষিকা দেবপ্রিয়া রায় বলেছেন, “মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!— অতুল প্রসাদ সেনের লেখা এই পংক্তিটি বার বার মনে পড়ে, যখন শুনি কলকাতার বাংলাভাষী মেধাবী শিক্ষার্থীরা স্পোকেন ইংলিশ ক্লাসে যাচ্ছে। কারণ কী? বাংলা টাংলা তো ঠিক আছে, বাড়ির লোকজনের জন্য যেখানে আবেগ, অনুভূতি, মূল্যবোধ তৈরি হয়। কিন্তু চিন্তার বিষয় হল বাংলা ভাষা কোনও পরিস্থিতিতে বিশ্লেষণ করে ভাবতে সাহায্য করবে ঠিকই, তবে প্রকাশ করতে হবে তা ইংরাজিতে— না হলে যে মর্যাদা রক্ষা হবে না, চাকরি পাবে না।”

“ছোটবেলায় পড়েছিলাম ভাষা মনের ভাব ব্যক্ত করতে সাহায্য করে, তবে সেইখানেও যে মান-বৈষম্য আছে জানা ছিল না। আনন্দবাজার ডট কম আয়োজিত ‘শব্দ-জব্দ’-এর এই অপূর্ব উদ্যোগ এই চিরাচরিত ধারণাকে এক লহমায় ভুল প্রমাণ করে বাংলাভাষী মানব মনে মাতৃভাষার প্রতি সম্মান ও ভালবাসাকে পুনর্জীবিত করেছে। প্রয়োজনে মানুষকে অনেক কিছুই শিখতে হয়, ভাষা তার মধ্যে একটি। এই উদ্যোগ আরও একবার মনে করিয়ে দেয় সাফল্য আসে নিজের গুণাবলীতে, অন্যের অক্ষমতা প্রমাণে নয়। এই উদ্যোগের প্রতি আমার আন্তরিক কুর্নিশ।”

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের ১৫টি জেলার ২৫০টিরও বেশি স্কুলে আনন্দবাজার ডট কম আয়োজিত ‘শব্দ-জব্দ ২০২৫’ শুরু হয়েছে। এই প্রচেষ্টায় আমাদের সহযোগিতা করছে আনন্দবাজার ডট কম আয়োজিত ‘শব্দ-জব্দ ২০২৫’-এর পার্টনাররাও। এই উদ্যোগ সফল করার পেছনে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। ‘প্রেজ়েন্টিং পার্টনার’ ইআইআইএলএম কলকাতা। ‘পাওয়ার্ড বাই পার্টনার’ ট্রেন্ডস এবং সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি। এ ছাড়াও, ‘স্ন্যাকস্ পার্টনার’ কিকু নুডুলস্, ‘ফুড পার্টনার’ মনজিনিস এবং ‘নলেজ পার্টনার’ শব্দবাজি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement