Bizarre

নিষ্কৃতিমৃত্যু বেছে নিচ্ছেন তরুণী! মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি চান তিনি

শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণার শিকার বছর ২৮-এর তরুণী জ়োয়ারা টার বিক যখন জানতে পেরেছিলেন তাঁর সুস্থ হওয়ার আর কোনও আশাই নেই, তখন স্বেচ্ছামৃত্যুর পথটিই বেছে নেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০৮
Share:

স্বেচ্ছামৃত্যুতেই মুক্তি! ছবি: সংগৃহীত।

অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিয়েছেন এক তরুণী। আগামী মে মাসেই নিজের জীবন শেষ করবেন তিনি।

Advertisement

ঘটনাটি নেদারল্যান্ডসের।

ছোট থেকেই অটিজ়মে আক্রান্ত জ়োয়ারা টার বিক। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ, অবসাদ। অনেক দিন ধরেই তার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছিলেন নেদারল্যান্ডসের ওই তরুণী। এক পোষ্য এবং সঙ্গী থাকা সত্ত্বেও সেই কষ্টে প্রলেপ দিতে পারেননি। চিকিৎসার কোনও পথ আর খোলা নেই জেনে অবশেষে স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নেন তিনি। এ দিকে, তাঁর এই পরিকল্পনা জানাজানি হওয়ায় সারা বিশ্বে শুরু হয়েছে চর্চা। তৈরি হচ্ছে বিতর্ক।

Advertisement

২০০১ সাল থেকেই নেদারল্যান্ডসে স্বেচ্ছামৃত্যু বৈধ। তার পর থেকেই স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নেওয়ার প্রবণতা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। ২০২২ সালের মধ্যে সে দেশে স্বেচ্ছামৃত্যু অনেকটা বেড়ে যায়। বহু দেশে এই প্রবণতার নিন্দা করা হয়। বলা হয়, আত্মহত্যাকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে এ ভাবে। তবে এত দিন তা ছিল শারীরিক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। মানসিক যন্ত্রণার কারণে স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নেওয়া তুলনায় কম দেখা যেত। সে কারণেই এই তরুণীর সিদ্ধান্ত আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণার শিকার বছর ২৮-এর তরুণী জ়োয়ারা টার বিক যখন জানতে পেরেছিলেন তাঁর সুস্থ হওয়ার আর কোনও আশাই নেই, তখন স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটিই হবে জ়োয়ার বাড়িতে। যে চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করেন, তাঁর তত্ত্বাবধানেই পুরো কাজটি সম্পন্ন হবে। জ়োয়ার দীর্ঘ দিনের সঙ্গীও সেই সময়ে তাঁর পাশে থাকবেন।

জ়োয়ারা হয়তো নিজের কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্বেচ্ছামৃত্যুর এই সহজলভ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। ‘দ্য ফ্রি প্রেস’-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দৈনন্দিন জীবনের মানসিক অবসাদ, উদ্বেগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলেই সে দেশের তরুণেরা এই পন্থা বেছে নিচ্ছেন। নেদারল্যান্ডসের ‘থিয়োলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পেন’-এর এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, “স্বেচ্ছামৃত্যু যেন চিকিৎসকদের কাছেও ভীষণ ভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। মানসিক দোলাচল, টানাপড়েনের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারা রোগীদের বিষয়ে চিকিৎসকেরাও সহজেই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন। স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার রয়েছে বলে বাঁচার চেষ্টা ছেড়ে দেওয়া একেবারেই কাম্য নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন