তিন ভুলে গন্ডগোল! ছবি : সংগৃহীত।
জলের বোতলে এক চামচ চিয়াবীজ আর লেবুর রস গুলে দেন? নাকি মিশিয়ে দেন দইয়ের সঙ্গে? ওজন কমবে ভেবে দিনের পর দিন চিয়াবীজ খেয়েও কি ফলাফল চোখে পড়ছে না। তবে হয়তো কয়েকটা ভুল হচ্ছে। চিয়াবীজ খাওয়ার অভ্যাস জারি রাখতে হলে এবং সুফল পেতে হলে তা আগে থেকে জেনে রাখাই ভাল।
মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ রমিতা কৌর জানাচ্ছেন, চিয়াবীজের পুষ্টিগুণ রয়েছে যথেষ্ট। নিয়মিত খেতে পারলে তা শরীরের জন্য উপকারীও। কিন্তু চিয়াবীজ খেতে গিয়ে আকছার কিছু ভুল করে ফেলেন অনেকেই। সেই ভুল এড়িয়ে চললে আশাহত হতে হবে না।
কোন তিন ভুল করবেন না?
১। রমিতা বলছেন, ‘‘যাঁরা চিয়া বীজ নিয়মিত খান। তাঁদের অধিকাংশই এই ভেবে খান যে, এটি খেলে ওজন কমে যাবে। সেই গোড়ার ভাবনাতেই সবচেয়ে বড় গলদ। চিয়া বীজ মূলত একটি সুষম খাবার। যার মধ্যে কিছু জরুরি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। রয়েছে ফাইবার। যা কিছু ক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু চিয়া বীজ একা কখনওই ওজন কমিয়ে দিতে পারে না।’’ চিয়াবীজকে নিয়ে ওই ধারণাটাই তাই সবচেয়ে বড় ভুল, বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ।
২। চিয়া বীজ খাওয়ার দ্বিতীয় ভুল এটি জলে না ভিজিয়ে খাওয়া। ইদানীং বিভিন্ন ধরনের বীজ এক সঙ্গে একটি প্যাকেটেই ভরে ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালের মতো বিক্রি হচ্ছে। সেই সমস্ত প্যাকেটে কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তরমুজের দানা, সয়বীনের দানা, তিসির বীজ, তিল, রোলড ওটস ইত্যাদি সবরকম জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে চিয়াবীজও। যাঁরা কিনছেন তাঁরা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে সঙ্গেসঙ্গেই ওই মিলিজুলি বীজ খেয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু পুষ্টিবিদ বলছেন, চিয়া বীজ খাওয়ার আগে ১৫-২০ মিনিট অন্তত তা জলে না ভেজালে, তা থেকে শরীরে অস্বস্তি হতে পারে। গলায় দলা পাকিয়ে শ্বাস বন্ধও হয়ে যেতে পারে।
৩। চিয়া বীজ খেলে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। কারণ এই বীজ তার মোট ওজনের ১০ -১২ গুণ জল শুষে নিতে পারে। পরিমাণ মতো জল না থেলে হজমের সমস্যা এমনকি, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে।