ছবি : সংগৃহীত।
কোথাও কিছু নেই আচমকাই গায়ে, হাতে-পায়ে ব্যথা। তার উপর জ্বর ভাব। আবহাওয়া বদলের মরশুমে এমনটা আকছার হচ্ছে। কখনও ঠান্ডা লেগে। কখনও ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে। এমন হলে ওষুধ তো রয়েছেই। তবে কিছু বাড়তি আরাম আর দ্রুত উপশম পেতে হলে কয়েকটি উষ্ণ পানীয় খেয়ে দেখতে পারেন।
১. আদা, মধু ও লেবুর গরম পানীয়
আদা হলো প্রাকৃতিক ভাবে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি অর্থাৎ প্রদাহনাশক। যে প্রদাহের কারণে শরীরে ব্যথা বেদনা হয়, তা কমাতে সাহায্য করে। গলার ব্যথাও দূর করতে সাহায্য করে। মধু গলায় আরাম দেয় ও কাশি কমাতে পারে। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরের স্বাভাবিক আর্দ্র ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কী ভাবে বানাবেন? এক কাপ গরম জলে কয়েকটি আদার টুকরো ফুটিয়ে নিন। জল ছেঁকে তাতে ১ চা চামচ মধু ও অর্ধেকটা লেবুর রস মিশিয়ে গরম গরম পান করুন।
২. গোল্ডেন লাটে
আসলে হলুদ-দুধ।হলুদে আছে কারকিউমিন, যা শক্তিশালী প্রদাহনাশক তো বটেই এতে ভরপুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও আছে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়লেও নানা ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। হলুদ দুধ খেলে তা শরীরের ব্যথা ভাব ও জ্বরের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।
কী ভাবে বানাবেন? এক গ্লাস দুধে ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ও সামান্য গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে গরম করে নিন। এতে অল্প জাফরান, দারচিনির গুঁড়ো এবং স্বাদের জন্য অল্প মধুও মেশাতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে পান করলে ভালো ঘুমও হবে।
৩. গরম মুরগির মাংসের ঝোল
আর্দ্রতার অভাবে নানা ধরনের সমস্যা এবং রোগ বাড়ে শরীরে। গরম স্যুপ শরীরকে দ্রুত আর্দ্র করে। এটি গলা ও বুকে জমে থাকা কফ নরম করে শ্বাস-প্রশ্বাসে আরাম দেয়। মুরগির মাংসের ঝোলে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন ও নানা ধরনের খনিজ। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
কী ভাবে বানাবেন? হালকা মশলা দিয়ে মুরগির মাংস অল্প নেড়ে নিয়ে জল এবং সব্জি দিয়ে সেদ্ধ করে তা পান করুন। এতে অল্প গোলমরিচ ছড়িয়ে দিলে জ্বরের মুখে খেতেও ভাল লাগবে।