Healthy Drinks for Cholesterol

নিয়ন্ত্রণে নেই কোলেস্টেরল? ওষুধের পাশাপাশি এলডিএল কমিয়ে দিতে পারে ৫টি চেনা পানীয়

চিকিৎসকেরা বলছেন, কাজের চাপ, সম্পর্কের চাপ, অনিদ্রা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, বসে বসে দীর্ঘ ক্ষণের কাজ, ইত্যাদির ফলেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। রোজের অভ্যাসে ৫টি পানীয় যোগ করলেই খারাপ কোলেস্টেরল কমতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ২০:২৭
Share:

স্বাস্থ্যকর পানীয় খেলে কোলেস্টেরল কমবে। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

আজকের ব্যস্ত জীবনে যাপনের ধরনধারণের কারণে শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও। চিকিৎসকেরা বলছেন, কাজের চাপ, সম্পর্কের চাপ, অনিদ্রা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, বসে বসে দীর্ঘ ক্ষণের কাজ, ইত্যাদির ফলেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। বাড়ছে হার্টের রোগের ঝুঁকি। কিন্তু প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় কয়েকটি স্বাস্থ্যকর পানীয় রাখলেই খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এর ফলে রক্তপ্রবাহ উন্নত হয় এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমে। কোনও জটিল নিয়ম নয়, শুধু সঠিক পানীয়ের প্রয়োজন।

Advertisement

গ্রিন টি: গ্রিন টি-র মধ্যে থাকে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট (বিশেষ করে ফ্ল্যাভোনয়েডস), যা এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরে প্রদাহ কমায় এবং ধমনীতে আটকে থাকা প্লাক (কোলেস্টেরল ও অন্যান্য দূষিত পদার্থ) জমা হলে, তা দূর করতে পারে। তাই হৃদ্‌যন্ত্রের যত্নে প্রতি দিন এক কাপ গ্রিন টি বিশেষ কার্যকরী। চিনি ছাড়া খেলেই বেশি উপকার মিলবে।

বেদানার রস: বেদানার রসে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এলডিএল-এর অক্সিডেশন রোধ করে। অক্সিডাইজ় হওয়া এলডিএল ধমনীর ভেতরে জমে প্লাক তৈরি করতে পারে। বেদানার রস তা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তবে যাঁরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খান বা যাঁদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের বেদানার রসের পরিমাণ মেপে খেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ সে ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক। তা ছাড়া হার্ট ও কোলেস্টেরলের জন্য বেদানার রস খুবই কার্যকরী।

Advertisement

সয় মিল্ক: উদ্ভিজ্জ প্রোটিনে ভরা সয় মিল্ক এলডিএল কমাতে সাহায্য করে। এটি একই সঙ্গে ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতেও সহায়ক হতে পারে। সয় মিল্ক রোজ খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।

টম্যাটোর রস: টম্যাটোর রসে রয়েছে লাইকোমিন নামক এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা কোষকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি হার্টের যত্ন নিতে পারে। এটি শরীরের প্রদাহ কমায় এবং ধমনীকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত খেলে এলডিএল নিয়ন্ত্রণে থাকে, এইচডিএল-এর মাত্রা বাড়ে এবং হৃদ্‌যন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ে।

বিটের রস: বিটের রসে থাকা পলিফেনল এবং বেটানিন নামক যৌগ, যা ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়, প্রদাহ কমায় এবং এলডিএল নিয়ন্ত্রণে রাখে। একই সঙ্গে এটি ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে। এতে ফ্যাট ও সোডিয়ামের পরিমাণও কম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement