প্রতীকী চিত্র।
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক ক্রমশ দুর্বল হতে শুরু করে। তাই সঠিক জীবনযাত্রা এবং পরিবেশের অভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। অনেক সময়ে তা বুদ্ধির উপরে প্রভাব বিস্তার করে। মস্তিষ্ক দুর্বল হলে অনেক সময়ে অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকিও বাড়ে। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কয়েকটি পরিবর্তন করতে পারলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বজায় থাকতে পারে।
১) মস্তিষ্কের ক্ষমতা বজায় রাখতে মদ্যপান বা ধূমপানের মতো আসক্তি ত্যাগ করা উচিত। উভয়েই মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। ফলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা লোপ পাওয়া বা স্মৃতিভ্রমের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেতে থাকে। একই সঙ্গে প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিমাণও ডায়েটে কম রাখা উচিত।
২) মস্তিষ্ক ভাল রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে সামাজিক মেলামেশা। মনোবিদেরা জানিয়েছেন, যাঁরা নিজেদের ভিড় থেকে আলাদা রাখতে পছন্দ করেন বা মেলামেশা করতে পছন্দ করেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে কগনিটিভ ক্ষমতা কমতে পারে। কারণ মেলামেশার মাধ্যমে মস্তিষ্কের কর্মচঞ্চলতা বজায় থাকে।
৩) উদ্বেগ বা ক্লান্তি থেকেও মস্তিষ্কের উপর চাপ তৈরি হয়। তার ফলে মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং স্মৃতি লোপ পেতে পারে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস, বই পড়া বা গান শোনার মতো অভ্যাসে মন শান্ত থাকে, যা পরোক্ষে মস্তিষ্কের চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৪) মস্তিষ্ককে ভাল রাখতে কখনও কখনও তার উপর চাপ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। তাই যে কোনও রকম ধাঁধা, কুই়জ় বা নতুন ভাষা শেখার মতো অভ্যাস উপকারী। তার ফলে মস্তিষ্কের মধ্যে উপস্থিত নিউরন কোষগুলির মধ্যে সংযোগ আরও শক্তিশালী হয়।
৫) ঘুমের মাধ্যমে মস্তিষ্ক নিজেকে সারিয়ে তোলে। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে অনেকেরই পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব রয়েছে। মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখতে নিয়মিত অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু ঘুম কম হলে বয়সের সঙ্গে স্মৃতি রোমন্থনের ক্ষমতা কমে যেতে পারে।