ছবি : সংগৃহীত।
হার্টের রোগের একদম শুরুর দিকের ‘অঙ্কুর’ হল কোলেস্টেরল। এই কোলেস্টেরলই ক্রমে বেড়ে বেড়ে ধমনীতে প্রতিকূলতা তৈরি করে। রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হয়। তা থেকে বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা। খুব সরল ভাবে বললে বিষয়টি এ রকম। তাই হার্টের রোগের ঝুঁকি যদি গোড়াতেই কমাতে হয়, তবে খেয়াল রাখতে হবে কোলেস্টেরলের দিকে।
নিয়মিত চেক আপ করানোর মতো ভাল উপায় দু’টি নেই। তিন মাস অন্তর না হলেও ছ’মাস অন্তর যদি রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বুঝে নেওয়া যায়, তবে সাবধানে থাকতে অসুবিধা হয় না। কিন্তু তা যদি না সম্ভব হয়, তবে কয়েকটি লক্ষণ জেনে নেওয়া জরুরি। যা দেখলে সতর্ক হয়ে এক বার পরীক্ষা করানোর কথা মনে হবে।
হার্টের চিকিৎসক জেরেমি লন্ডন একটি পডকাস্টে বলেছেন, ‘‘সাধারণত চোখের তলায় হলদেটে চর্বি জমা, বুকে ব্যথা, শ্বাস নেওয়ার সমস্যা ইত্যাদি হলে কোলেস্টেরলের সমস্যা বলে বোঝা যায়। এর বাইরেও কিছু কিছু উপসর্গ রয়েছে, যা নীরবে কোলেস্টেরলের সমস্যার কথা বলতে থাকে। অথচ সেই সব উপসর্গের সঙ্গে পরিচিতি না থাকায় অনেকেই বুঝতে পারেন না।’’
পায়ে ব্যথা
প্লাক অর্থাৎ ধমনীতে কোলেস্টেরল ও অন্যান্য দূষিত পদার্থ জমা হলে তা শুধু ধমনীর উপর প্রভাব ফেলে না। পায়ের যে রক্তনালী, তাকেও প্রভাবিত করে। একে বলা হয় পেরিফেরাল আর্টারি ডিজ়িজ়। এমন হলে পায়ে যন্ত্রণা, পা ভারী হওয়া, পায়ে শিরশিরানি, জ্বালা করা ইত্যাদি হতে পারে। হাঁটতে কেলে কাফ মাসলে ব্যথাও হতে পারে। যা অনেকেই বয়সের জন্য হচ্ছে বা ক্লান্তির জন্য হচ্ছে ভেবে এড়িয়ে যান, তা আসলে কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক।
পায়ের পাতা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
ধমনীতে কোলেস্টেরল জমতে শুরু করলে তা রক্ত চলাচলেও বাধা সৃষ্টি করে। যা থেকে পায়ের পাতা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া। ঠান্ডায় হাত-পা জমে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এমনকি, পায়ের নখ পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। এমন হলেও রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা বুঝে নেওয়া জরুরি।
কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে যাওয়া
রক্ত সঞ্চালনে অসুবিধা হলে তার প্রভাব পড়ে পেশিতেও। তাই সামান্য বেশি হাঁটতে হলে, দৌড়তে হলে বা সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতেও হাঁপিয়ে উঠতে পারে শরীর। সে ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে।