ওজন কমানো কঠিন হবে না, খাওয়া নিয়ে কয়েকটি বদল মানলেই। ছবি: সংগৃহীত।
রূপটান যতই নিখুঁত হোক, স্থূলতা, অতিরিক্ত মেদ সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। তবে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বাইরের দেখনদারির জন্য নয়, শরীর ভাল রাখার জন্যই ওজন বশে রাখা দরকার। বাড়তি ওজন একাধিক অসুখের কারণ হতে পারে।
কিন্তু ওজন কমানো কি মুখের কথা? অনেকেই বলবেনস সারা দিনে খাওয়া কমিয়েও ওজন কমছে না মোটেই। পুষ্টিবিদেরা বলেন, ওজন কমানোর জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। ক্যালোরি, পুষ্টি, বিপাকহার— এমন অনেক বিষয়ই এর সঙ্গে সম্পর্কিত।
তবে মেদ ঝরানো সহজ হতে পারে খাবার পাতে সামান্য বদল আনলেই, বলছেন ফিটনেস কোচ রাজ গণপথ। ‘সিম্পল, নট ইজ়ি’ নামে ফিটনেস সংক্রান্ত একটি বইও লিখেছেন তিনি। সমাজমাধ্যম প্রভাবী জানাচ্ছেন, সহজ কয়েকটি অদলবদলই বিষয়টি সহজ করে দিতে পারে।
প্রোটিন এবং সব্জি: প্রাতরাশ হোক বা দুপুর রাতের খাবার—প্রোটিন এবং সব্জি থাকাটা জরুরি। তবে এ জন্য নিজস্ব স্বাচ্ছন্দ্যের বাইরে গিয়ে খাবার খেতে হবে, এমন নয়। বরং ফিটনেস কোচ বলছেন খুব সাধারণ যে সমস্ত খাবার আমরা খেতে অভ্যস্ত, যার মধ্যে প্রোটিন রয়েছে, সেগুলিই খাদ্যতালিকায় রাখা যায়। একই শর্ত সব্জির ক্ষেত্রেও।
ধীরে খাও: শিশুদের খাওয়ানোর সময় অভিভাবকেরা বলেই থাকেন, ধীরে চিবিয়ে খেতে হয়। ওজন কমাতে গেলেই এই শর্ত জরুরি। কারণ, ধীরে খেলে পাচকরস ভাল ভাবে নিঃসৃত হয়। হজম ভাল হয়। তা ছাড়া, দ্রুত খেলে বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতাও তৈরি হয়, যা ওজন না কমার অন্যতম কারণ।
খুব বেশি খিদের অপেক্ষা নয়: দিনভর খাওয়া হল না। তার পর খিদের মুখে যা পেলেন, খেয়ে ফেললেন। এমনটা হয় সকলের সঙ্গেই। খুব জোর খিদে পেলে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলাটাই স্বাভাবিক। বরং নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিমিত খাওয়া হলে, কখনই একবারে বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকবে না। অস্বাস্থ্যকর কিছুও এড়ানো যাবে।
যখন-তখন খাওয়া বন্ধ করা দরকার: কিছু দেখলেই খেয়ে ফেলার প্রবণতা ওজন কমানোর পথে প্রতিবন্ধক হতে পারে। খিদে থাক বা না থাক কারও কারও সারা ক্ষণ মুখ চলতেই থাকে। রাজ বলছেন, বেশির ভাগ মানুষের জন্যই দিনে ২-৩ বার পেট ভরে খাওয়া যথেষ্ট, তার বেশি খাওয়ার দরকার হয় না। সান্ধ্য মুখরোচক খাবার, হালকা খিদে পেলে চিপ্স বা ভাজাভুজি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ রাজের।
পরিমিতি বোধ: পিৎজ়া, পাস্তা, চকোলেট কেক, মাংস— এই সব লোভনীয় খাবার দেখলে পরিমিতিবোধও উধাও হয়ে যায়? এটাই ভুল। পছন্দের যা-ই খাওয়া হোক না কেন, সংযম ভীষণ জরুরি। খাবার খাওয়ায় অসুবিধা নেই, কিন্তু তার মাত্রাজ্ঞান জরুরি।