Heart Health Awareness

পুজোয় কব্জি ডুবিয়ে কবাব-তন্দুরি খেয়েছেন, শরীর ঠিক রাখতে হার্টের রোগীদের জন্য রইল কিছু পরামর্শ

পুজোয় ঘোরাঘুরি বিস্তর করেছেন, মনের মতো খাওয়াদাওয়াও করেছে নিশ্চয়ই। এ বার শরীর ঠিক রাখাও জরুরি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:২৬
Share:

পুজোয় কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া হয়েছে, এ বার শরীর ঠিক রাখতে কী কী নিয়ম মানবেন? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

হার্টের অসুখ ধরা পড়লেই হিমশিম দশা হয় রোগীর। এটা করা বারণ, তো ওটাতে মানা। পছন্দের খাবারে তো কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যায়। আর যদি হার্টে অস্ত্রোপচার হয়, তা হলে কথাই নেই। বাইরে পা রাখাই বারণ হয়ে যাবে। কিন্তু পুজোর সময়ে কি দুয়ারে খিল এঁটে ঘরে বসে থাকা যায়! একেবারেই নয়। তাই পুজোয় ঘোরাঘুরি বিস্তর করেছেন, মনের মতো খাওয়াদাওয়াও করেছে নিশ্চয়ই। এ বার শরীর ঠিক রাখাও জরুরি। হার্টের রোগ থাকলে বা অস্ত্রোপচার হয়েছে যাঁদের, তাঁদের জন্য রইল কিছু পরামর্শ।

Advertisement

পুজো মানেই রাত জেগে ঠাকুর দেখা, ভূরিভোজ, বাহারি খাবারের স্বাদ নেওয়া। পুজোর চার দিন অনিয়মই সঙ্গী। হার্টের চিকিৎসক সুশান মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, চাইলেও পুজোর সময়ে বেশি বিধি-নিষেধ কেউ মানেন না। মানতেও চান না। কিন্তু এর পর থেকে আবারও নিয়মে ফিরে যান। বাইরে খাওয়া আর হুল্লোড়ের মাঝেও শরীরের যত্ন নেওয়ার কথা ভুলে গেলে চলবে না। হার্টের অসুখ থাকলে বা আগে অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে, যে কঠিন নিয়ম মেনে চলতে হয়, পুজোর সময় তা খানিকটা শিথিল হতে পারে বটে। কিন্তু নিয়ম থেকে দূরে গিয়ে কোনও কিছুই করা ঠিক নয়। হার্টে যদি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়ে থাকে বা স্টেন্ট বসে, তা হলে বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার, ধূমপান-মদ্যপান থেকে দূরে থাকতে হবে। এত দিন পছন্দের খাবার খেয়েছেন, এ বার হালকা বাড়ির খাবার খান। ভাত-রুটি একটু কম খেয়ে ওট্স, ডালিয়া বা কিনোয়া খেতে পারেন। মাছের পাতলা ঝোল বা চিকেনের স্যুপ উপকারী হবে। নরম পানীয় একেবারেই চলবে না। আর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

কী কী নিয়ম মেনে চলবেন?

Advertisement

দশমী থেকে শুরু হোক নিয়মানুবর্তিতা। মিষ্টি খেলেও কম খান। একটাতেই সীমাবদ্ধ থাকুন। সন্ধ্যার ভাজাভুজিটা খাবেন না। লুচিটা না হয় বাদই দিলেন।

রেস্তরাঁয় গিয়ে বিরিয়ানি না হয় না-ই বা খেলেন, বাড়িতেই রুটির সঙ্গে কম মশলা দিয়ে রাঁধা চিকেনের কোনও পদ খান। পনিরের নানা রকম পদ খেতেই পারেন। সঙ্গে যেন স্যালাড অবশ্যই থাকে। আর নুন কম খেতে হবে।

যে দিন রেস্তরাঁয় খেলেন, তার পরদিন বাড়িতেই হালকা রান্না খাবার খান। সবুজ শাকসব্জি, ফল খেয়ে নিন। এতে শরীরে ফাইবার ঢুকে ভারসাম্য বজায় রাখবে। তবে যদি বেশি পটাশিয়ামে বারণ থাকে, তা হলে শাক বা সব্জি জলে ভিজিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। জলে দ্রাব্য পটাশিয়াম সহজেই বেরিয়ে যাবে।

রোজ অন্তত আধ ঘণ্টা শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন। ময়ের অভাব হলে সকাল ও বিকেল দু’বেলা মিলিয়েও করা যেতে পারে। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন শরীরচর্চা করা উচিত। তবে ২০ বছরের বয়সি কেউ হার্ট ভাল রাখার জন্য যে ব্যায়াম করবেন, ৫০ পেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তি সেই ব্যায়াম করবেন না। তাই বয়স, শরীরের অবস্থা বুঝেই ব্যায়াম করা উচিত। সে জন্য অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement