ডিমের মতোই প্রোটিন মেলে ফলে? ছবি: সংগৃহীত।
প্রোটিনের চাহিদাপূরণের সবচেয়ে ভাল উপায় প্রাণিজ উৎস। ডিম থেকে দুধ, মাছ, মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন মেলে। কিন্তু যাঁরা আমিষ খান না, তাঁরা?
হরিয়ানার পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন জানাচ্ছেন, বছরভর মেলে এমন এক ফল আছে যার একটি খেলেই আধখানা ডিমের সমান প্রোটিন মিলতে পারে। তিনি সমাজমাধ্যমে স্বাস্থ্য, যাপন এবং পুষ্টি সংক্রান্ত নানা ধরনের পরামর্শ দেন। লিমা বলছেন, প্রোটিন-নির্ভর ডায়েটের খোঁজ যাঁরা করছেন, তাঁরা ফলের তালিকায় রাখতে পারেন পেয়ারা। মাঝারি মাপের একটি পেয়ারায় প্রায় ৪ গ্রাম প্রোটিন মেলে। পু্ষ্টিবিদ বলছেন, শুধু প্রোটিন নয়, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজে পূর্ণ ফলটি ডায়াবেটিক-বান্ধবও। এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ফলে চট করে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় না।একটি মুরগির ডিমে ৬ থেকে ৭ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন মেলে। সেই হিসাবে একটি মাঝারি মাপের পেয়ারায় আধখানার ডিমের বেশি প্রোটিন মেলে। ঠাণের একটি হাসপাতালের পুষ্টিবিদ বিজয় নেগালুর জানাচ্ছেন, পেয়ারায় অন্য অনেক ফলের তুলনায় প্রোটিন বেশি মেলে। তবে এটিই একমাত্র ফল নয়। কাঁঠাল, অ্যাভোকাডোর মতো ফলেও তা মেলে। তবে পেয়ারাকে পুষ্টিগুণে এগিয়ে রাখার কারণ হল ফাইবার, ভিটামিন সি-সহ একাধিক খনিজের উপস্থিতি।
পাতাতেও গুণ
শুধু ফল হিসাবে পেয়ারা যে উপাদেয় তা নয়, পেয়ারাপাতার গুণও কিছু কম নয়। এতে এমন এক যৌগ রয়েছে যা ইনসুলিন সেনসিটিভিটি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বশে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবিটিস বশে রাখতে চিকিৎসা জরুরি। তবে কখনও কখনও ঘরোয়া টোটকাও কাজের হয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এর স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ না থাকলে পেয়ারাপাতা ফুটিয়ে সেই জল খেলে তাতে শরীরের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। বরং এতে থাকা উপাদান, শরীরের জন্য ভালই।
কোন ফলে কতটা প্রোটিন?
১৫০ গ্রাম পেয়ারায় মোটামুটি ৪ গ্রাম প্রোটিন মেলে।
১৫০ গ্রাম অ্যাভোকাডোয় প্রোটিনের পরিমাণ ৩ গ্রাম।
সমপরিমাণ কাঁঠালে প্রোটিন মিলতে পারে ২-৩ গ্রাম।
১৫০ গ্রাম আপেলে প্রোটিন মেলে মাত্র ০.৫ গ্রাম।