Weight Loss Tips

সকাল শুরু হয় মিষ্টি দিয়ে! তার পরেও কী ভাবে এমন সুঠাম গড়ন অভিনেতা আদিত্য রায় কপূরের?

‘হট’ নায়ক আদিত্য কপূরের এমন চেহারার নেপথ্যে কী, ফাঁস করলেন নিজেই। গত আট বছর ধরে একই খাবার খেয়ে সকাল শুরু হয় তাঁর। কী খান তিনি?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ১৩:২৯
Share:

অভিনেতা আদিত্য রায় কপূরের মতো সুঠাম চেহারা ‘মিষ্টি’ খেয়েও পাওয়া যায়? ছবি: সংগৃহীত।

বয়স ৩৯। সুঠাম শরীর। ঝুলিতে অসংখ্য হিন্দি ছবি। হিটও রয়েছে বেশ কয়েকটি। ‘গুমরাহ্‌’-এর পর ‘মেট্রো ইন দিনো’— পর পর কাজও করে চলেছেন তিনি। আদিত্য রায় কপূরের অভিনয় থেকে সৌন্দর্য— বার বারই এসেছে চর্চায়। এমনকি, অনেক নায়িকার চোখেও তিনি ‘হট’। কর্ণ জোহরের কফির আড্ডায় অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে বলেছিলেন, "আদিত্য রায় কপূর কিন্তু বেশ হট!"

Advertisement

সেই ‘হট’ নায়ক কী ভাবে এমন চেহারা ধরে রেখেছেন সেই তথ্যই ফাঁস হল এক সাক্ষাৎকারে। করিনা কপূর খানের সঙ্গে একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘‘গত আট বছর ধরে একই রকম প্রাতরাশ করেন তিনি। সকালে তাঁর একটু মিষ্টিও লাগে।’’

মিষ্টি! শুনেই চমকাতে পারেন যে কেউ। চিনি খেলে কী হয়, না খেলে কতটা ভাল হয়, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনার শেষ নেই। জন আব্রাহাম, শাহরুখ খান-সহ বহু অভিনেতাই চিনি ছুঁয়ে দেখেন না। সেখানে আদিত্য রয় কপূরের এমন নির্মেদ, পেশিবহুল চেহারা সকালে মিষ্টি খেয়ে? তা-ও কি সম্ভব?

Advertisement

আসলে এই মিষ্টি, দোকানের চিনির মিষ্টি নয়। বরং অভিনেতা খান স্বাস্থ্যকর মিষ্টি। যার স্বাদ প্রাকৃতিক। আদিত্যের সকালের খাবারে থাকে সুমিষ্ট ফল। অবশ্য খালি পেটে ফল দিয়ে প্রাতরাশ করেন না আদিত্য। বরং গত আট বছর ধরে সকালের খাবারে থাকে ওট্স এবং ডিম।

ওট্স, ডিম এবং অল্প কিছুটা ফল— এটাই রোজনামচা অভিনেতার। কিন্তু এই প্রাতরাশ কতটা স্বাস্থ্যকর? সকলেই কি খেতে পারেন?

ওট্স: এতে রয়েছে জটিল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সমাহার। আর রয়েছে ফাইবার। ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, কপার, জ়িঙ্ক, ভিটামিন বি-এর মতো আরও অনেক পুষ্টিগুণ মেলে এতে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা থেকে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখা, হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে ওট্স। ওজন বশে রাখতেও এটি সহায়ক।

ডিম: উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন এ, ডি, ই, বি১২-এর মতো স্বাস্থ্যকর উপাদানে ভরপুর ডিম। ডিমে রয়েছে নয় রকমের প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা পেশি গঠনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এতে মেলে কোলাইন, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খুব জরুরি। এতে থাকা লিউটেন দৃষ্টিশক্তির জন্য ভাল।

ফল: ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ফলে থাকে প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকেরা বলেন, কৃত্রিম মিষ্টি ক্ষতিকর, তবে ফলের স্বাভাবিক মিষ্টত্বে শরীরের ক্ষতি হয় না। বরং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবারে ভরা ফল শরীরে কিছুটা হলেও জলের ঘাটতি দূর করে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়। রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদ দীপলক্ষী শ্রীরাম বলছেন, ‘‘আদিত্য রায় কূপর যে প্রাতরাশ করেন, তাতে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট— সবটাই মেলে। ফলে দিন শুরু করার জন্য অবশ্যই এটি ভাল খাবার।’’

তবে পুষ্টিবিদেরা সব সময় বলেন, যে কোনও খাবার পুষ্টিকর মানেই সেটি অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। ডিম থেকে ফল— সব কিছুর জন্যই তা প্রযোজ্য। তা ছাড়া সকলের শরীর সমান নয়। কারও কারও নানা রকম সমস্যাও থাকে। শরীর বুঝে জলখাবার নির্বাচন করা জরুরি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement