‘আচারি বা’ সিনেমায় জৈষ্ণবীবেন আনোপচন্দ ভাগাডিয়ার চরিত্রে অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা। ছবি: সংগৃহীত।
আচার শুধু অরুচির মুখে স্বাদ ফেরায় না, আচার হতে পারে জীবনযুদ্ধের শরিকও। ভারতীয় খাদ্য-সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে থাকা আচার কখনও কখনও মজবুত করে সম্পর্কের বন্ধন। তা কখনও কখনও হয়ে ওঠে জীবনে নতুন করে বাঁচার রসদও। কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি ছবি ‘আচারি বা’ বলে সে কথাই।
এই ছবিতে নীনা গুপ্তা অভিনয় করেছেন এমন এক বিধবা মহিলার চরিত্রে, যেখানে তাঁর উত্তরণের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে আচার। সেই আচারের স্বাদ এ বার নীনার হেঁশেলে। ঠিক আচার নয়, টম্যাটো, লঙ্কার চাটনি তৈরির পদ্ধতি শিখিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী। তাঁর কাছে এই চাটনি বছরভর খাওয়ার। চাটনি বা আচার ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। রাজ্য ভেদে তার স্বাদ আলাদা হলেও ভাত হোক বা রুটি, ইডলি, দোসা সবের সঙ্গেই চাটনি খাওয়ার চল রয়েছে। রিল লাইফে আচার তৈরিতে দড় হলেও, রিয়্যাল লাইফেও রাঁধেন-বাড়েন নীনা। তিনি শেখালেন, নোনতা এবং ঝাল চাটনি তৈরির কৌশল। এর জন্য লাগবে ২টি টম্যাটো, ৩-৪টি কাঁচালঙ্কা, ১-২ টেবিল চামচ তেল, ১ টেবিল চামচ আদাকুচি, ৩-৪টি রসুনকুচি, ধনেপাতা এবং নুন।
টম্যাটো-লঙ্কার চাটনি তৈরি শেখালেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা। ছবি:সংগৃহীত।
নীনা দেখিয়েছেন চাটনি তৈরির পদ্ধতি। এ জন্য টম্যাটো এবং কাঁচালঙ্কা ধুয়ে সেদ্ধ করে নিন। টম্যাটোর খোসা ছাড়িয়ে নিন। মিক্সারে দিয়ে ঘুরিয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে আদা-রসুন কুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। টম্যাটোবাটা মিশিয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন। দিয়ে দিন স্বাদমতো নুন। ঘন হয়ে এলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।
এই ধরনের চাটনি, ভাত, রুটি, পরোটা— অনেক কিছুর সঙ্গেই খাওয়া যায়। মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ খুসমা শাহ বলছেন, ক্যালোরি কম, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও আছে এতে। বছরভর এমন চাটনি খাওয়াই যায়। তা ছাড়া আদা-রসুন থাকায় রোগ প্রতিরোধেও তা সক্ষম। কাঁচালঙ্কাতেও ভিটামিন সি থাকে। গরমের সময়টা এড়িয়ে যাওয়া যেতেই পারে। তবে বছরের অন্য সময় ১-২ টেবিল চামচ এক দিনে খাওয়াই সঙ্গত।
চাটনি রোজ খাওয়া ভাল?
নিয়মিত এই ধরনের চাটনি খেলে কি তা স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী হবে, এমন প্রশ্ন থাকে অনেকেরই। পু্ষ্টিবিদ বলছেন, ‘‘সকলের শরীর সমান নয়। বিশেষত অম্বলের ধাত থাকলে প্রাতরাশে এই ধরনের চাটনি খেলে হজমের সমস্যাও হতে পারে।’’ পুষ্টিবিদের পরামর্শ, চাটনিতে জিরেগুঁড়ো ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে অম্বলের সমস্যা কমবে। তা ছাড়া, শরীর বুঝে ঝালও কমানো দরকার, বিশেষত গ্রীষ্মকালে।’’ এই চাটনি তৈরি করে বড় জোর ৩-৪দিন রেখে খাওয়া যায়। তার বেশি নয়, জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ।