Adenovirus

শিশুদের মধ্যে বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ! ভাইরাস ঠেকাতে খুদেকে কী কী খাওয়াতে হবে?

এই মরসুমে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে ছোট থেকে বড় সকলকেই নজর দিতে হবে। সুস্থ থাকতে খাওয়ার পাতে কী কী রাখতেই হবে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:২৭
Share:

বড়দের কারও জ্বর-সর্দি-কাশি, গলাব্যথা হলে অবশ্যই বাচ্চাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।

করোনা, ডেঙ্গির পর এ বার নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করছে অ্যাডিনোভাইরাস। জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে চলতি মরসুমে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জন শিশুর। শহর থেকে জেলা হাসপাতালগুলির সাধারণ শয্যা থেকে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু)— সর্বত্রই শিশুদের ভিড়। ফাঁকা থাতছে না ভেন্টিলেটরগুলিও।

Advertisement

চিকিৎসকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে যে শিশুদের বয়স দু’বছরের কম, তাদের ক্ষেত্রে ভয়ের পরিমাণ বেশি। বয়স এক বছরের কম হলে ঝুঁকি আরও বেশি। এই বয়সের শিশুদের ভীষণ সাবধানে রাখতে হবে। বড়দের কারও জ্বর-সর্দি-কাশি, গলাব্যথা হলে অবশ্যই বাচ্চাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ, বড়দের থেকেই এই সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে ছড়ায়। অ্যাডিনোভাইরাসে শিশুদের ফুসফুস ও শ্বাসনালি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাধারণ সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্টে বদলে যেতে দু’দিনও সময় লাগছে না। এই সময়ে প্রতিরোধ ক্ষমতার বাড়ানোর দিকে ছোট থেকে বড় সকলেই নজর দিতে হবে। এই সময়ে সকলের খাওয়ার পাতে কী কী রাখতেই হবে?

তেতো: ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রতি দিন খাবারের পাতে রাখুন তেতো। হয় নিম পাতা, নয় তো উচ্ছে। এ সবের অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শরীর মজবুত রাখে ও এই সময়ে বাতাসে উড়ে বেড়ানো রোগ-জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।

Advertisement

পর্যাপ্ত প্রোটিন: শরীর সুস্থ রাখতে প্রোটিনও চাই ভরপুর। খাবার পাতে উদ্ভিজ্জ বা প্রাণীজ, যে কোনও রকমের প্রোটিন রাখুন রোজ। মাছ, মাংস, সয়াবিন, মুসুর ডাল, ডিম এ সব থেকে পাওয়া পুষ্টিগুণ শরীরকে ভিতর থেকে মজবুত করবে।

লবঙ্গ-দারচিনি-কাঁচা হলুদ: ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বেশ কিছু মশলাপাতি ব্যবহারের কথা বলা হয়। তার মধ্যে লবঙ্গ-দারচিনি-কাঁচা হলুদও রয়েছে। রান্নায় যোগ করুন লবঙ্গ ও দারচিনি। এই সব মশলাপাতিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। নিয়মিত দারচিনি, লবঙ্গ দিয়ে কাড়া বানিয়েও খেতে পারেন।

কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল উপাদানও শরীরকে অনেক রোগের হাত থেকে বাঁচায়। ছবি: সংগৃহীত।

কাঁচা হলুদ: কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল উপাদানও শরীরকে অনেক রোগের হাত থেকে বাঁচায়। হয় টুকরো করে কেটে চিবিয়ে খান, নয়তো কাঁচা হলুদ বেটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান প্রতি দিন।

রসুন: সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, এতেই নাকি অর্ধেক রোগবালাইয়ের শঙ্কা কমে যায়। প্রাকৃতিক ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ঠাসা এই সব্জির অনেক কার্যকরী দিক রয়েছে। ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে এই সব্জি ভাল কাজ করে।

টক দই: টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমের জন্য ভীষণ উপযোগী। টক দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান লিভারকে যেমন সুস্থ রাখে তেমনই এর জেরে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। অনেকেই দুধ খেতে পারেন না। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও দই খাওয়ার কথা বলেন পুষ্টিবিদরা।

জল: শরীরে জলের ভাগ কমলে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে তেমনই ডিহাইড্রেশন থেকে হওয়া নানা সমস্যায় জেরবার শরীর সহজেই ভাইরাসের শিকার হয়। তাই জলের বিষয়ে সচেতন থাকুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন