আলিয়া ভট্ট। ছবি: ফেসবুক।
দিনে এক-দু’বার যত্ন পেলেও বাকি সময়ে বঞ্চিত হয়েই থাকে ৩২ পাটি দাঁত। সেই দাঁতই কিন্তু দেহের অলঙ্কার। হাসিতেই যদি মন জয় করতে চান, তা হলে অবশ্যই নজর দিতে হবে দাঁতের দিকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাঁতে হলদেটে ভাব চলে আসে, কখনও বা কালো ছোপ। দু’বেলা ব্রাশ না করা, খাওয়ার পর ভাল করে মুখ না ধোয়া, অযত্নের কারণে দাঁতের বিবিধ সমস্যা শুরু হয়। কোন কারণে দাঁতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়, তা নিয়ে সম্প্রতি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন আলিয়া ভট্ট, অনন্যা পাণ্ডে, সারা আলি খানের পুষ্টিবিদ সিদ্ধান্ত ভার্গব।
দাঁতের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ হল এনামেল। যা দাঁতের একদম উপরের স্তর। সেটি ক্ষয়ে যেতে থাকলে নীচের স্তরগুলি উন্মুক্ত হয়ে যায়। এনামেলের তুলনায় সেই স্তরগুলির রং খানিক হলদেটে। ফলে প্রথমেই রক্ষা করতে হবে এনামেলকে। এমনিতে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দাঁতে হলুদ ছাপ পড়ে যায়। এনামেল নষ্ট হতে থাকে। তাই বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা খুব অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু কম বয়সেও দাঁতে দাগ পড়ে যাওয়ার নানাবিধ কারণ রয়েছে। চিকিৎসক সিদ্ধান্ত বলেন, ‘‘এনামেলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে টক জাতীয় কোনও খাবার, চা-কফি, টক ফলের মতো অ্যাসিডযুক্ত খাবার। তবে এনামেলের ক্ষয় রুখতে এ সব বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। শুধু জানতে হবে এনামেলের ক্ষয় রুখতে পারে এমন কিছু উপায়।’’
১) সাধারণ মাজন নয়, এনামেল কেয়ার টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
২) যে কোনও খাবার বা পানীয় খাওয়ার পরেই সঙ্গে সঙ্গে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৩) খুব শক্ত নয়, নরম ব্রাশ ব্যবহার করে নিয়মিত ব্রাশ করুন।
এনামেলের যত্ন নেবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
এনামেলের ক্ষয় রুখতে বছরে এক বার করে স্কেলিং করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক। যাঁদের বার বার রং বদলাতে থাকে, তাঁদের জন্য এই উপায় খুবই কার্যকরী। তবে যদি দেখা যায়, স্কেলিংয়ের এক বছর পর অতটাও হলুদ ছোপ পড়েনি, তবে তাঁর ক্ষেত্রে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করা যেতে পারে। তবে বছরে এক বার করে অন্তত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দেখিয়ে নেওয়া উচিত।