ছবি : সংগৃহীত।
কিছু রান্না আছে, যেখানো কালো মরিচের বদলে সাদা মরিচ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া থাকে। ঝাঁঝের সামান্য ফারাক ছাড়া আপাত দৃষ্টিতে দুই মরিচের তেমন তফাত চোখে পড়ে না। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে পার্থক্য নেই, তা কিন্তু নয়।
সাদা গোলমরিচ এবং কালো গোলমরিচ আসলে একই গাছের ফসল। রঙ বদলে যায় প্রক্রিয়াকরণের ভিন্নতায়। সাদা গোলমরিচের খোসা বা বাইরের স্তরটি ফেলে দেওয়া হয়, যা থেকে যায় কালো গোলমরিচে।
পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্যের উপকারের কথা যদি ভাবতে হয়। তবে দু’ধরনের গোলমরিচেরই মিল অনেক। কারণ, শরীরের জন্য উপকারী পিপেরিন রয়েছে দুই মরিচেই। তবে কালো গোলমরিচে বাইরের খোসা থাকার কারণে এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ফাইবার এর পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকতে পারে। এতে থাকা পিপেরিনের ঘনত্বও বেশি হয়। ঠিক তেমনই সাদা গোলমরিচেরও নিজস্ব কিছু বিশেষত্ব রয়েছে।
১. সহজপাচ্য: যেহেতু সাদা গোলমরিচের বাইরের খোসাটি থাকে না, এটি কালো গোলমরিচের তুলনায় কম তীব্র হয়। ফলে হজম করতে কোনও সমস্যা হয় না। তাই যাঁদের হজমক্ষমতা দুর্বল, তাঁরা কালো মরিচের বদলে সাদা মরিচ খেতে পারেন।
২. ক্ষুধা বর্ধক: কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সাদা গোলমরিচ খিদে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখে: সাদা গোলমরিচ বিপাক ক্রিয়াকে দ্রুত করতে এবং অন্ত্রের পেরিস্টালসিসকে (পেশির সংকোচন-প্রসারণ) উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
৪. স্বাদের তীব্রতা কমাতে পারে: স্বাদের দিক থেকে সাদা গোলমরিচ সাধারণত কম ঝাঁঝালো হয়। অন্য দিকে কালো গোলমরিচের স্বাদ অনেক বেশি তীব্র ও উষ্ণ। তাই মৃদু স্বাদের খাবারে, যেমন, স্যুপ, হোয়াইট সস, ম্যাশড পোটাটো বা ইতালীয় খাবারে সাদা গোলমরিচ ব্যবহারের বেশি। কারণ কালো মরিচের স্বাদের তীব্রতা মূল স্বাদকে ছাপিয়ে যেতে পারে।