তারকাদের ফিট থাকতে শোনেন বিনোদ চান্নার কথা। বয়স্কদের ফিট থাকতে কোন পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি? ছবি: আনন্দবাজার ডট কম
১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরানো মুখের কথা নয়। অথচ সেই কাজটি করেছিলেন ফিটনেস প্রশিক্ষক বিনোদ চান্না। মুকেশ অম্বানীর ছোট ছেলে অনন্ত অম্বানীকে একসময় ছিপছিপে করে তোলার নেপথ্যে তাঁর পরামর্শ ছিল। শুধু অনন্ত নন, নীতা অম্বানীও ওজন কমাতে পেরেছিলেন বিনোদের কথা মেনে। দেশের তাবড় ধনী, শিল্পপতি পরিবারের সদস্যেরা ফিট থাকতে যে ফিটনেস প্রশিক্ষকের কথা শোনেন, সেই বিনোদই এ বার বয়সকে হারিয়ে তারুণ্য বজায় রাখার সহজ তিন পরামর্শ দিলেন তাঁর ব্লগে। তিনি জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাসে তিন বদলই করতে পারে বাজিমাত।
পুষ্টির ভারসাম্য: অন্য পুষ্টিবিদদের মতোই চান্নাও খাবার পাতে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজের সঠিক সমন্বয়ের কথাই বলছেন। ব্যাখ্যা করেছেন কারণও। প্রোটিন খেলে পেশি সবল হয়। ত্বকও থাকে টানটান। তবে যে কোনও প্রোটিন খাবার নয়, পাতে রাখতে হবে মাংস, মাছ, দুধ, ডিম, টক দই, পনির, সয়া দুধ। কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন শক্তির জন্য। তবে সরল নয়, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট রয়েছে এমন খাবার, যেমন কিনোয়া, ওট্স, ব্রাউন রাইস খেতে হবে। এ ছাড়া সবুজ শাকসব্জি, স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের চাহিদাপূরণে মাছের তেল, বাদাম খেতে হবে। মরসুমি ফলও খাদ্যতালিকায় থাকা জরুরি।
উচ্চ ক্যালোরির অস্বাস্থ্যকর খাবার নয়: যত দিন যাচ্ছে ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড বাদ দিতে হবে দৈনন্দিন জীবন থেকে, বলছেন বিনোদ। একই সঙ্গে কার্বন এবং চিনিযুক্ত ঠান্ডা পানীয়, অ্যালকোহলকেও বিদায় জানানো জরুরি।
যা খাচ্ছেন, বুঝে খান: খাবার শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, তার সঙ্গে তৃপ্তি থাকাও জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাবারও অবহেলায় খেলে লাভ হয় না। বরং ধীরেসুস্থে চিবিয়ে খেলে, খাবারের স্বাদ উপভোগ করলে হজম ভাল হয়।
বিনোদের তারুণ্য বজায় রাখার পরামর্শ কতটা যুক্তিযুক্ত ? গ্রেটার নয়ডার পুষ্টিবিদ কিরণ সোনি জানাচ্ছেন, পুষ্টির সমম্বয় ত্বকের জরুরি প্রোটিন কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কোলাজেন চামড়া টানটান রাখতে সাহায্য করে। ঠিকমতো খাদ্যগ্রহণ বিপাকহার বাড়িয়ে তোলে। ওজন নিয়ন্ত্রণে যা জরুরি। শরীরে ভিটামিন, খনিজ সঠিক মাত্রায় বজায় থাকলে দূরে থাকবে অসুখও। অন্য দিকে, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্যই অক্সেডেটিভ স্ট্রেসের কারণে মুখে দ্রুত বলিরেখা পড়ে। ভাজাভুজি বাদ দিলে বজায় থাকবে সুস্বাস্থ্য। আর খাদ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে ধীরেসুস্থে খেলে তা হজমে যেমন সহায়ক হয়, তেমনই পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।