oil pulling benefits

দাঁত ঝকঝকে রাখতে ‘অয়েল পুলিং’ করেন অনুষ্কা! কী এই পদ্ধতি? আর কী কী লাভ হয়?

জানেন কি, প্রাচীন এমন এক পদ্ধতি রয়েছে, যা দামে ও গুণে টেক্কা দিতে পারে যে কোনও কৃত্রিম মাউথওয়াশকে? পশ্চিমের দেশগুলিতে এই পদ্ধতিকে বলে অয়েল পুলিং। বিযয়টি ঠিক কী?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:২৯
Share:

অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা। ছবি: সংগৃহীত।

মুখের দুর্গন্ধ কমাতে ও মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অনেকেই ব্যবহার করেন বাজার চলতি নানা কৃত্রিম মাউথওয়াশ। কিন্তু জানেন কি, প্রাচীন এমন এক পদ্ধতি রয়েছে, যা দামে ও গুণে টেক্কা দিতে পারে যে কোনও কৃত্রিম মাউথওয়াশকে? এই পদ্ধতিতে জলের বদলে কুলকুচি করতে হয় তেল দিয়ে। পশ্চিমের দেশগুলিতে এই পদ্ধতিকে বলে অয়েল পুলিং।

Advertisement

অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে জানিয়েছিলেন, তাঁর দিন শুরু হয় ‘অয়েল পুলিং’ করে। পোস্টে অনুষ্কা লেখেন, ‘‘‘অয়েল পুলিং’ হল প্রাচীন আয়ুর্বেদিক এক পদ্ধতি যাকে ‘কালাভা’ বা ‘গান্ডুশা’ বলে। এই পদ্ধতিতে খালি পেটে মুখে খানিকটা তেল নিয়ে কুলকুচি করে ফেলে দেওয়া হয়। দাঁত ভাল রাখতে এই পদ্ধতিটি দারুণ কাজের।’’

কী ভাবে করতে হয় তেলের কুলকুচি?

Advertisement

মুখভর্তি তেল নিয়ে ঠোঁট দু’টি শক্ত করে চেপে রাখতে হয়। তার পরে তেল মুখের ভিতর থেকে বাইরের দিকে ঠেলতে হয়। আবার বাইরের দিক থেকে ভিতর দিকে টানতে হয়। এ ক্ষেত্রে দাঁতের ফাঁক দিয়ে তেল যাওয়া আসা করে। এর ফলেই দাঁত এবং মা়ড়ির উপকার হয়। এ ক্ষেত্রে মূলত নারকেল তেল ব্যবহার করা হয়।

কেন করবেন ‘ওয়েল পুলিং’?

১) মানুষের মুখের ভিতরে প্রায় ৭০০ ধরনের ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। দাঁতের সমস্যা থেকে মুখের দুর্গন্ধ, হরেক রকমের সমস্যা ডেকে আনে এই ব্যাক্টেরিয়াগুলি। রোজ তেল দিয়ে কুলকুচি করলে ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা কমে যায়।

২) মুখের দুর্গন্ধের কারণে অনেককেই বিপাকে পড়তে হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই সমস্যাকে বলে হ্যালিটোসিস। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ময়লা থেকে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু এই সমস্যার মূল কারণ, জিভে জমে থাকা ময়লার স্তর। এই ময়লার স্তর দূর করতে অয়েল পুলিং বেশ কার্যকর।

৩) অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়। দাঁতের মাঝে জমে থাকা মিষ্টি জাতীয় খাবারের কণার উপর বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার প্রভাবে যে অ্যাসিড উৎপন্ন হয় তা দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে এবং ক্যাভিটি তৈরি করে। অয়েল পুলিং এই সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী।

৪) মাড়ির ফোলাভাব কমাতে ও প্রদাহ হ্রাস করতে অয়েল পুলিং পদ্ধতি দারুণ কার্যকর। বিশেষত নারকেল তেল মুখের স্ট্রেপটোকক্কাস জাতীয় ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। শুধু মাড়ির প্রদাহই নয়, মাড়িতে জমে থাকা ময়লার কঠিন আস্তরণ কমাতেও সাহায্য করে এই পদ্ধতি।

৫) এ ছাড়া তেল দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁত সাদা ঝকঝকে হয় বলেও মনে করেন অনেকে। তা ছাড়া বাজার চলতি রাসায়নিক মাউথওয়াশের তুলনায় অনেক সস্তা এই পদ্ধতি।

কুলকুচি করার সময় যেমন অবশ্যই পরিশুদ্ধ তেল ব্যবহার করা বাঞ্চনীয়, তেমনই কুলকুচি করার সময় তেল গিলে ফেললেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement