প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
দাঁত এবং মাড়ির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে দিনে অন্তত দু’বার দাঁত মাজা উচিত। কিন্তু অনেকেই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আলস্যের কারণে দাঁত মাজেন না। কিন্তু সময়ের অভাবে দাঁত না মাজলে, মুখের মধ্যে জীবাণু বাসা বাঁধে। মাড়িতে সংক্রমণ থেকে দাঁতেরও ক্ষতি হতে পারে। মুখের ভিতরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি কৌশল কাজে আসতে পারে।
১) ইলেক্ট্রিক টুথব্রাশ: দাঁত থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে সাধারণ ব্রাশের তুলনায় ইলেক্ট্রিক টুথব্রাশ বেশি কার্যকরী। কারণ, এই ধরনের ব্রাশের চাপের ফলে দাঁতে অ্যাসিড তৈরি করা জীবাণুদের সহজেই ধ্বংস করা সম্ভব।
২) ফ্লস: অর্থাৎ সরু সুতো দিয়ে দুটি দাঁতের ফাঁক পরিষ্কার করা। এই পদ্ধতিতে যেখানে টুথব্রাশ পৌঁছয় না, সেখান থেকেও খাবারের অবশেষ এবং জীবাণু বার করা সম্ভব।
৩) জিভ: দাঁত মাজলেও অনেকেই নিয়মিত জিভ পরিষ্কার করেন না। জিভ পরিষ্কার থাকলে মুখের মধ্যে জীবাণুর পরিমাণ কমে। ফলে দাঁত এবং মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এ ছাড়াও জিভ পরিষ্কার করলে মুখে দুর্গন্ধ কমে যায়।
৪) চিউইং গাম: কৃত্রিম শর্করা বিহীন চিউইং গাম মুখের ভিতরে লাগাতার লালা তৈরিতে সাহায্য করে। মুখের মধ্যে লালার উপস্থিতি জীবাণু ধ্বংস করতেও সাহায্য করে। তার ফলে দাঁত এবং মাড়ি সুস্থ থাকে।
৫) মাউথ ওয়াশ: দাঁত মাজার সময় না থাকলে সে ক্ষেত্রে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সেই মাউথ ওয়াশের মধ্যে যেন অ্যালকোহল না থাকে, তা খেয়াল রাখা উচিত। অ্যালকোহল দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে।