—প্রতীকী চিত্র। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বয়সের সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে আসে। অনেকেই অনেক কিছু ভুলে যান। ফলে অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কিন্তু মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সময় থাকতে পদক্ষেপ করা উচিত। বিশেষ করে, স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে সূর্যাস্তের পর খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন করলে সুফল মিলতে পারে।
১) মিষ্টি জাতীয় খাবার: সন্ধ্যার পর মিষ্টি জাতীয় কোনও খাবার খেলে তা মস্তিষ্কের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। চিনি দিয়ে চা-কফি বা নরম পানীয় তাই সূর্যাস্তের পর খাওয়া উচিত নয় বলেই মনে করেন চিকিৎসকেরা। শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়লে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে, যা পরোক্ষে আমাদের মস্তিষ্কের উপরে চাপ সৃষ্টি করে।
২) মদ্যপান: অনেকেই গভীর রাত পর্যন্ত মদ্যপান করে থাকেন। যার ফলে রাতে তাঁদের ঘুম কম হয়। কারণ, মদ্যপানের সঙ্গে দেহে তখন মেলাটোনিন তৈরির পদ্ধতির সংঘাত তৈরি হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নিয়মিত কম ঘুমোলে তা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে।
৩) কফি: কফির মধ্যে থাকে ক্যাফিন, যা দেহে শক্তির জোগান দেয়। তাই অতিরিক্ত কফি পান থেকে অনিদ্রার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। কিন্তু মস্তিষ্কের দীর্ঘকালীন স্বাস্থ্যের জন্য দিনে অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। তাই রাতে খাবারের সঙ্গে বা খাবারের পরে কফি পান করার অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত।
৪) সোডিয়াম: ডায়েটে অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকলে তা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস করতে পারে বলেই দাবি করা হয়েছে একাধিক গবেষণায়। কারণ, সোডিয়াম শরীরে প্রদাহ তৈরির অন্যতম কারণ হতে পারে। তার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা হ্রাস পেতে পারে, যা পরোক্ষে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। পাশাপাশি, সোডিয়াম মস্তিষ্কে নাইট্রিক অক্সাইডের সঞ্চালন ব্যাহত করতে পারে।
৫) অতিরিক্ত খাবার: স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে রাতে পরিমিত খাবার খাওয়া উচিত। রাতে বেশি খাওয়ার জন্য বদহজম বা ঘুম কম হতে পারে। তাই রাতে ঘুমোনোর অন্তত দু’ঘণ্টা আগে দিনের শেষ খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সন্ধ্যার পর ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিনে পরিপূর্ণ খাবার খাওয়া উচিত।