Ear care tips

সারা ক্ষণ কানে ইয়ারফোন গুঁজে রাখেন? নোংরা জমে সংক্রমণ হওয়া এড়াতে ৫টি নিয়ম জানুন

কেবল শ্রবণশক্তি হারানো নয়, ইয়ারবাড বা ইয়ারফোন থেকে সংক্রমণেরও ঝুঁকি থাকে। রোজ ব্যবহার করলেও বেশির ভাগ মানুষই হেডফোন রোজ পরিষ্কার করেন না। রোজ পরিষ্কার করার ঝক্কি অনেকেই নিতে চান না। হেডফোন, ইয়ারবাডও যে পরিষ্কার করে ব্যবহার করা উচিত, তেমন ধারণাও নেই বেশির ভাগেরই। এখন কথা হল, ইয়ারবাড বা ইয়ারফোন রোজ পরিষ্কার করতে কেন বলা হচ্ছে?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:১৩
Share:

হেডফোনের যত্নআত্তি করবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

এক সময়ে মানুষ মিউজ়িক সিস্টেমে গান শুনত। সেখানে যন্ত্রটির সঙ্গে শ্রবণযন্ত্রের দূরত্ব বজায় থাকত। এখন প্রযুক্তির সুবিধা অনুযায়ী দিনের একটা বড় অংশ প্রত্যেকেই হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করছেন। অফিসের কল থেকে শুরু করে বাড়িতে বা পথে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ছোট্ট ডিভাইসগুলি। কিন্তু তার ফলে শ্রবণশক্তির ক্ষতি হচ্ছে। একই সঙ্গে অল্প বয়সেই অনেকেই বধির হয়ে যাচ্ছেন। কেবল শ্রবণশক্তি হারানো নয়, ইয়ারবাড বা ইয়ারফোন থেকে সংক্রমণেরও ঝুঁকি থাকে। রোজ ব্যবহার করলেও বেশির ভাগ মানুষই হেডফোন রোজ পরিষ্কার করেন না। রোজ পরিষ্কার করার ঝক্কি অনেকেই নিতে চান না। হেডফোন, ইয়ারবাডও যে পরিষ্কার করে ব্যবহার করা উচিত, তেমন ধারণাও নেই বেশির ভাগেরই। এখন কথা হল, ইয়ারবাড বা ইয়ারফোন রোজ পরিষ্কার করতে কেন বলা হচ্ছে?

Advertisement

হেডফোন বা ইয়ারবাডে কানের ময়লা, ঘাম জমে সিলিকন টিপের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে নোংরা জমে যায়। দীর্ঘ দিন তা পরিষ্কার না করলে, সেখানেই নানা জীবাণু বাসা বাঁধে। ফলে ব্যবহারের সময়ে সেই সব জীবাণু ঢুকে কানের পর্দার ক্ষতি করে। কানের ভিতরে সংক্রমণও ঘটে।

নোংরা ইয়ারবাড বা ইয়ারফোন থেকে অন্তঃকর্ণের ককলিয়া অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি, কানের ভিতরে ছোট ছোট ব্রণ হতে পারে। বহিঃকর্ণে অনেক সময়েই ‘ওটিটিস এক্সটার্না’ নামে এক ধরনের অসুখ হয়, যার থেকে কানের ভিতরে পুঁজ জমতে পারে। এটি এক রকমের প্রদাহজনিত অসুখ, যাকে ‘সুইমার’স ইয়ার’ বলা হয়। এই ধরনের অসুখ যদি হয়, তা হলে তা থেকে কানে আরও নানা রকম ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক ঘটিত রোগও হতে পারে। শ্রবণশক্তি পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আরও একটি সমস্যা হতে পারে। ওটিটিস এক্সটার্না থেকে ত্বকের সংক্রমণও হতে পারে। যাঁদের সোরিয়াসিস বা একজ়িমা আছে, তাঁরা যদি দিনের পর দিন অপরিষ্কার ইয়ারবাড ব্যবহার করে যান, তা হলে ত্বকের রোগ আরও বেড়ে যাবে। কান যে হেতু সারা শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে, তাই কানের ক্ষতি হওয়া মানে তার প্রভাব পড়বে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতেও। সে কারণেই নিয়মিত ইয়ারফোন বা ইয়ারবাড পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।

Advertisement

ইয়ারবাড কী ভাবে পরিচ্ছন্ন রাখবেন? গোটা ইয়ারবাড বা ইয়ারফোন সাবান ডলে ডুবিয়ে দিলে তো তা নষ্ট হয়ে যাবে। পরিষ্কার করার কিছু উপায় রয়েছে—

প্রতি বার ব্যবহারের পর তুলো দিয়ে ইয়ারফোনের সিলিকন টিপ, তার এবং ইয়ারবাড ভাল করে মুছে তবেই রাখুন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বাজারে এখন নানা রকম ‘মিনি টুল’ পাওয়া যায়, যেমন— পরিষ্কার করার মিনি ব্রাশ, পেনের মতো দেখতে টুল বা তুলোর বল। তা দিয়েই রোজ পরিষ্কার করা উচিত। ইয়ারফোনের সিলিকন টিপের ভিতরে কানের ময়লা, ঘাম জমে থাকে। সেগুলি খুলে নিয়ে হালকা তরল সাবান জলে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তার পর তুলে শুকনো কাপড় বা তুলো দিয়ে মুছে ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে। গোটা ইয়ারফোন যেন আবার সাবান জলে ডুবিয়ে দেবেন না। স্পিরিট বা অ্যালকোহল জাতীয় কোনও কিছু দিয়ে ইয়ারফোন বা ইয়ারবাড পরিষ্কার করবেন না। ধারালো কোনও জিনিস যেমন পিন, সেফটিপিন দিয়ে খোঁচাখুঁচি করবেন না। এতে মাইক্রোফোনটি খারাপ হয়ে যেতে পারে। ইয়ারবাড যে বাক্সে থাকে, সেটিকেও শুকনো তুলো বা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement