Rare Lung Cancer

বিশ্বে মাত্র ০.৫ শতাংশের হয়, ফুসফুসের বিরল ক্যানসারে ভুগে প্রয়াত ব্রাজিলের গায়িকা

মারণরোগ কুরে কুরে খাচ্ছিল ফুসফুস। এমন এক ধরনের ক্যানসার, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং রোগ অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে গেলে রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:০৬
Share:

ফুসফুসের বিরল ক্যানসারে ভুগছিলেন গায়িকা, কী সেই রোগ? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ফুসফুসে কখন মারণরোগ বাসা বেঁধেছিল, তা বোঝা যায়নি। শ্বাসকষ্ট, কাশি প্রায়ই ভোগাত গায়িকা ভেনেসা রিওসকে। তাই নিয়েই মঞ্চ কাঁপাতেন তিনি। পরে ধরা পড়ে, ফুসফুসের কোষে কোষে ছড়িয়ে পড়েছে ক্যানসার। কুরে কুরে খাচ্ছে শ্বাসনালিকে। তবে সাধারণ ক্যানসার নয়। ফুসফুসের এমন এক বিরল ধরনের ক্যানসার, যা বিশ্বে মাত্র ০.৫ শতাংশ মানুষের হয়। এমন ক্যানসার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং রোগ অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে গেলে রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

Advertisement

দেশের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের তথ্য বলছে, ভেনেসা যে ক্যানসারে ভুগছিলেন তার নাম ‘পালমোনারি সাইনোভিয়াল সারকোমা’। ক্যানসারের লক্ষণ প্রথমেই প্রকাশ পায় না। শুকনো কাশি হতে থাকে, সর্দি-কাশি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়, অনেক সময়ে কফের সঙ্গে রক্ত উঠে আসে। এই লক্ষণগুলি যদি কেউ এড়িয়ে যান, তা হলে সমস্যা বড় আকার নেবে। ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হবে। শ্বাস নিতে ও ছাড়তে গেলে বুকে অসহ্য যন্ত্রণা হবে। শ্বাসনালির প্রদাহ বাড়বে, এতে হাঁপানির মতো টানও উঠতে পারে। আরও এক ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়, তা হল আর্থ্রাইটিসের মতো ব্যথাবেদনা। পা, পায়ের পাতা, কাফ মাসল ও শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্থিগুলিতে ব্যথা হবে। ফলে রোগী বিভ্রান্ত হয়ে যাবেন, তাঁর আসল সমস্যা ফুসফুসে, না কি তিনি বাতের ব্যথায় ভুগছেন।

বিরল এই ক্যানসার শরীরের সব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতেই আক্রমণ শানায়। পেটে ব্যথা হয়, হাত ও কাঁধে যন্ত্রণা হয়, এমনকি মাইগ্রেনের মতো ব্যথাও শুরু হয়। শরীরের নানা জায়গায় ব্যথাহীন মাংসপিণ্ড গজাতে থাকে। ওজন আচমকা কমে যেতে থাকে। এক্স-রে, এমআরআই, আলট্রাসাউন্ড ও কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি (সিটি) স্ক্যানে এই ক্যানসার ধরা পড়তে পারে। জিনগত ভাবেও ছড়ায় এই রোগ। নির্দিষ্ট কিছু জিনের রাসায়নিক বদল (মিউটেশন) ঘটলে সাইনোভিয়াল সারকোমা হতে দেখা যায়।

Advertisement

সাইনোভিয়াল সারকোমা তরুণদের বেশি হয়। সাধারণত ত্রিশ বছর বা তার নীচের পুরুষ ও মহিলারা আক্রান্ত হন, তবে শিশু ও কিশোর বয়সেও এই ক্যানসার হতে পারে। ব্রাজিলের গায়িকার ৪০ বছর বয়সের পরে রোগটি ধরা পড়ে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগের শনাক্তকরণ হলে অস্ত্রোপচার এবং কেমোথেরাপি বা রেডিয়োথেরাপি দিয়ে ক্যানসার কোষ নষ্ট করার চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা। তবে অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে গেলে তা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement