আদা চা হাঁপানির কষ্টে আরাম দিতে পারে? ফুসফুসের সমস্যায় কেন তা উপকারী? ছবি: সংগৃহীত।
আদা চায়ের খোঁজ পড়ে সর্দি-কাশি জ্বরজারিতে। মাথা ব্যথা কমাতেও অনেকে আদা চায়ে চুমুক দেন। তবে আদা যে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ভাল রাখতে সাহায্য করে, তা জানেন কি? আদার মধ্যে আছে ব্যাক্টেরিয়া ও নানা ধরনের জীবাণুর সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা। চায়ের মধ্যে আছে রকমারি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। দুইয়ের গুণ এক হলে সেই পানীয়ের জোর যে বাড়বে, বলাই যায়। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, ফুসফুসের প্রদাহ সাময়িক ভাবে কমাতে সাহায্য করে আদায় থাকা কিছু উপাদান। এতে মেলে জিঞ্জেরল এবং শোগোল, এই দুই উপাদানই এ ক্ষেত্রে উপকারী।
আদা কী ভাবে ফুসফুসের সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর?
টাটকা আদা কুচিয়ে জলে ফুটিয়ে খেলে হালকা ঝাঁজ লাগে। গলায় আরাম হয়। আদায় রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান, যা ফুসফুসের বায়ু চলাচল পথকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে । বলা যায়, আদা হল ফুসফুসের সাফাইকর্মী। মূলত কাশি হলে বা দূষিত বাতাস শরীরে গেলে শ্বাসের কষ্ট হয়। আদা চায়ে চুমুক দিলে এমন পরিস্থিতিতে আরাম মিলতে পারে। কারণ, আদা ফুসফুসের বাতাস চলাচলের পথগুলিকে পরিষ্কার করে দিতে পারে।
ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজ়িজ় বা সিওপিডি থাকলে, হাঁপানি বা ফুসফুসের বাতাস চলাচলের পথে সংক্রমণ থাকলে, প্রদাহ হলে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। ইনহেলার, ওষুধের সাহায্য এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা হয়। চিকিৎসা জরুরি, তবে অনেক সময় প্রাকৃতিক উপাদানও শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
হাঁপানি বা সিওপিডি থাকলে ফুসফুসের বায়ু চলাচলের পথ অবরুদ্ধ হয়ে যায়। গরম আদা চা (চা পাতা না থাকলেও হবে) ফুসফুসের পেশি শিথিল করে বাতাস চলাচল সহজ করে দেয়।
কী ভাবে বানাবেন আদা চা?
দু’কাপ জলে এক ইঞ্চি আদা থেঁতো করে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এতে চা-পাতা দিতে পারেন, না-ও পারেন। জলটি ছেঁকে চায়ের মতো খান। মিষ্টি স্বাদ পেতে চাইলে মধুও মিশিয়ে নেওয়া যায়।
(প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। হাঁপানি বা সিওপিডির মতো সমস্যা থাকলে ওষুধ খাওয়া, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ইনহেলার নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি, কেউ সকালে এক বার আদা চায়ে চুমুক দিতে পারেন।)