চিয়া বীজের রেসিপি। ছবি: সংগৃহীত।
খাওয়াদাওয়া, জীবনযাপন, ওষুধপত্র, বা আরও নানাবিধ কারণে শরীরে প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে। আর প্রদাহই অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ক্রমশ খারাপ করতে থাকে। আর তাই পেটের এবং হজমের অসুখ সারানোর জন্য প্রদাহনাশী খাবার খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। অন্ত্রের আস্তরণকে প্রশমিত করতে, জ্বালা ভাব কমাতে এবং সেখানে মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে এই খাবারগুলি। এমস এবং হার্ভার্ড প্রশিক্ষিত আমেরিকা নিবাসী চিকিৎসক সৌরভ শেঠিও তাই নতুন এক উপায়ের কথা বললেন, যার মাধ্যমে সহজেই প্রদাহ কমানো যেতে পারে। যার মূল উপকরণ হল চিয়া বীজ। এই বীজকেই প্রদাহনাশী খাবারে পরিণত করা যায়।
চিয়া আসলে দ্রবণীয় ফাইবারে ভর্তি। জলে ভিজিয়ে রাখলে জেল-এ পরিণত হয় সেগুলি। আর এই জেল মূলত তিনটি কাজে আসে। প্রথমত, এটি শর্করার শোষণকে ধীর করে দেয়। দ্বিতীয়ত, এটি অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে পুষ্টি জোগায়। তৃতীয়ত, মলত্যাগের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, চিয়া বীজ শুকনো খাওয়া উচিত নয়। খাওয়ার আগে কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট বা সারা রাত ভিজিয়ে রাখা উচিত। চিয়া বীজ কার্বোহাইড্রেট হজম এবং গ্লুকোজ় নিঃসরণের গতি ধীর করতে সাহায্য করে। ফলে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত হয়। চিয়া বীজ ট্রাইগ্লিসারাইড এবং এলডিএল কোলেস্টেরল কমিয়ে লিপিড প্রোফাইল উন্নত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, এইচডিএল অর্থাৎ ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। সেই চিয়া বীজকে প্রদাহনাশী খাবারে কী ভাবে পরিণত করার কথা বলছেন সৌরভ?
উপকরণ
১০ গ্রাম চিয়া বীজ
অর্ধেক কাপ আমন্ড দুধ (নিজের পছন্দ অনুযায়ী বদলাতে পারেন)
অল্প দারচিনি
অল্প আখরোট
এক মুঠো বিভিন্ন রঙের বেরি অথবা আপেলের টুকরো কিংবা সামান্য মধু
প্রণালী
একটি পাত্রে চিয়া বীজের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে নিয়ে থকথকে করে নিন। দারচিনি আর আখরোট ভেঙে তার উপর ছড়িয়ে দিন। এ বারে বেরিগুলি বা আপেলের টুকরো অথবা মধু মিশিয়ে মিষ্টি স্বাদ যোগ করে নিন। শেষে দু’ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। আপনার চিয়া এ বারে প্রস্তুত। চিয়ার উপকারিতার পাশাপাশি দারচিনি রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অন্য দিকে, আখরোট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ। অন্ত্র এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখরোট। বেরি, আপেল বা মধু শরীরে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং প্রিবায়োটিক ফাইবার জোগায়।