Cholesterol

High Cholesterol Reasons: ৫ অভ্যাস: নিত্য দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে কোলেস্টেরলের মাত্রা

বিশেষজ্ঞদের মতে অনিয়ন্ত্রিত জীবনচর্চা ও বেঠিক খাদ্যাভ্যাস এই দ্বিতীয় প্রকারের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকটাই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:১৫
Share:

কিসে বাড়ে কোলেস্টেরল ছবি: সংগৃহীত

‘কোলেস্টেরল’ শুনলে অনেকে ভয় পেয়ে যান প্রথমেই। তবে বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, সব ধরনের কোলেস্টেরল খারাপ নয় শরীরের জন্য। মূলত দুই ধরনের কোলেস্টেরল মেলে মানবদেহে। ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা ‘এইচডিএল’ ও ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা ‘এলডিএল’। এর মধ্যে প্রথমটিকে ভাল কোলেস্টেরল বলে আর দ্বিতীয়টি শরীরের ক্ষতি করে। বিশেষজ্ঞদের মতে অনিয়ন্ত্রিত জীবনচর্চা ও বেঠিক খাদ্যাভ্যাস এই দ্বিতীয় প্রকারের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকটাই।

Advertisement

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

১। ধূমপান: ধূমপান শুধু ফুসফুসের ক্ষতি করে না, বাড়িয়ে দেয় ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও। পাশাপাশি ধূমপান কমিয়ে দেয় এইচডিএলের মাত্রা। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। তা ছাড়া ধূমপানের ফলে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয় যা কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

Advertisement

২। স্থূলতা: ‘বডি মাস ইনডেক্স’ যদি ৩০ বা তার বেশি হয়ে যায় তবে, কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে ডায়াবিটিস, ডেকে আনতে পারে হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা। উচ্চ কোলেস্টেরলের সঙ্গে এই ধরনের সমস্যা থাকলে প্রাণের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই। বিশেষজ্ঞদের মতে ওজন কমলে কমতে পারে কোলেস্টেরলের সমস্যাও।

৩। মদ্যপান: মদ্যপান মারাত্মক হারে বাড়িয়ে দিতে পারে কোলেস্টেরলের পরিমাণ। নিয়মিত মদ্যপান ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি করে। বিশেষত যাঁদের অগ্ন্যাশয় ও লিভারের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য এটি খুবই ঝুঁকি সাপেক্ষ। মহিলাদের ক্ষেত্রে উচ্চ ট্রাইগ্লিসারইড অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের আশঙ্কা।

৪। খাদ্যাভ্যাস: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, লাল ও প্রক্রিয়াজাত মাংস, বেশি তেল রয়েছে এমন খাবার বাড়িয়ে দেয় কোলেস্টেরলের মাত্রা। উল্টোদিকে কোলেস্টেরল বাগে আনতে খেতে হবে ওট, কাঠবাদাম। খাওয়া যেতে পারে মাছও। তবে সব কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবারই খারাপ নয়। যেমন ডিমে কোলেস্টেরল বেশি থাকলেও সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান।

৫। শরীরচর্চার অভাব: আলস্য ও কোলেস্টেরল বৃদ্ধির মধ্যে কার্যত একটি চক্রাকার সম্পর্ক রয়েছে। একটি বাড়লে, বৃদ্ধি পাবে অপরটিও। নিয়মিত শরীরচর্চা কমাতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা। পাশাপাশি শরীরচর্চা করলে নিয়ন্ত্রণে থাকে স্থুলতাও। শরীরচর্চা বলতে কিন্তু শুধু জিমযাত্রা নয়, নিয়মিত হাঁটা, সাইকেল চালানো ও সাঁতারের মতো অভ্যাসও সহায়তা করতে পারে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন