Best Diet for Guillain-Barre Syndrome

গিয়ান-ব্যারে সিনড্রোম থেকে বাঁচতে ডায়েটে কেমন হবে? কী কী খাবেন আর কী নয়?

প্রাপ্তবয়স্কেরা কেবল নয়, এই রোগ হচ্ছে ছোটদেরও। গিয়ান-ব্যারে থেকে বাঁচতে ভেজাল ও বাসি খাবার খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা। আর কী কী খাওয়া ঠিক নয়?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৮
Share:

গিয়ান-ব্যারের মতো রোগ থেকে বাঁচতে কী কী একেবারেই খাবেন না, জেনে নিন। ফাইল চিত্র।

এইচএমপিভি-র পর গিয়ান-ব্যারে সিনড্রোমের আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাতেও। পুণের পর পশ্চিমবঙ্গেও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত আরও কয়েক জন। প্রাপ্তবয়স্কেরা কেবল নয়, এই রোগ হচ্ছে ছোটদেরও। গিয়ান-ব্যারে থেকে বাঁচতে ভেজাল ও বাসি খাবার খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি, রাস্তা থেকে কেনা তেলমশলা দেওয়া খাবার বা ঠান্ডা পানীয় খেতেও বারণ করা হচ্ছে।

Advertisement

ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর জেজুনি নামক ব্যাক্টেরিয়া তো বটেই, সাইটোমেগালোভাইরাস নামে আরও একটি ভাইরাস গিয়ান-ব্যারের জন্য দায়ী। তা ছাড়া আক্রান্তদের শরীরে নোরোভাইরাসও পাওয়া গিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাস-ঘটিত রোগের পরে গিয়ান-ব্যারের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগ অথবা অন্ত্র বা খাদ্যনালির সংক্রমণ হলে তার থেকেও গিয়ান-ব্যারের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এই রোগ হলে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ড— দুই জায়গার স্নায়ুই দুর্বল হতে শুরু করে। রোগে আক্রান্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে শুরু করে। রোগীর মুখ দিয়ে অনবরত লালা ঝরতে থাকে, মুখ বেঁকে যায় এবং রোগের বাড়াবাড়ি হলে রেসপিরেটারি প্যারালিসিসও হয়।

গিয়ান-ব্যারে থেকে বাঁচতে কী কী খাবেন?

Advertisement

সুষম খাবার খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন মেডিসিনের চিকিৎসক পুষ্পিতা মণ্ডল। তাঁর কথায়, সবজ সব্জি বেশি করে খেতে হবে যাতে ফাইবার প্রচুর পরিমাণে আছে। তবে কাঁচা সব্জি কিনে এনে নুন-জলে ধুয়ে তবেই খাবেন।

যে সব ফলে সালফার বেশি আছে, সেইসব ফল বাছতে হবে যেমন ব্রকোলি, বাঁধাকপি, স্প্রাউট ইত্যাদি।

ওট্‌স, ডালিয়ার মতো দানাশস্য খেলে ভাল। তবে পাউরুটি খেতে হলে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময় দেখে খাবেন। পনির, চিজ় দোকান থেকে কিনে আনলে তারও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময় দেখে নিতে হবে। দোকানে বিক্রি হওয়া খোলা পনির বা চিজ় না কেনাই ভাল।

দুধ খেলে তা ভাল করে জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। কাঁচা দুধ একেবারেই খাবেন না বা ছোটদের খাওয়াবেন না।

গ্রিন টি খেলে এর অঅযান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।

কী কী খাবেন না?

১) পাঁঠার মাংস না খাওয়াই ভাল।

২) রাস্তা থেকে কেনা তেলমশলা দেওয়া খাবার, প্যাকেটের খাবার, ফ্রোজেন ফুড একেবারেই খাবেন না। এইসব খাবার ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুরঘর।

৩) সি-ফুড কম খাওয়াই ভাল। তবে খেলে ভাল করে পরিষ্কার করে নিয়ে খেতে হবে।

৪) প্রক্রিয়াজাত মাংস, রাস্তায় বিক্রি হওয়ায় কবাব, ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন।

৫) প্যাকেটজাত ফলের রস, রাস্তায় বিক্রি হওয়া লস্যি, শরবত একেবারেই খাবেন না। ছোটদেরও দেবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement