Dehydrated Food

ভ্রমণের সময়ে ‘ডিহাইড্রেটেড খাবার’ই নাকি সুবিধাজনক, দাবি দিব্যাঙ্কার! এগুলি কি আদৌ স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল

ডিহাই়ড্রেটেড, প্রিজ়ারভেটিভহীন, ঘরে বানানো রেডিমেড খাবার। বেড়াতে যাওয়ার আগে খাবারদাবার গোছানোর সময়ে এমন খাবারই নাকি সুবিধাজনক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৯
Share:

ডিহাইড্রেটেড খাবার নিয়ে কথা বললেন দিব্যাঙ্কা-বিবেক। ছবি: সংগৃহীত।

জলশূন্য, শুষ্ক, প্রিজ়ারভেটিভ (খাবার সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক) ছাড়া খাবারের সঙ্গে পরিচয় করালেন মুম্বইয়ের টেলি অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠী। রান্না অথবা বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। ঘরে তৈরি করা ‘রেডিমেড’ খাবার নিয়ে কথা বললেন নিজের ভ্লগে। বেড়াতে যাওয়ার আগে খাবারদাবার গোছানোর সময়ে এমন খাবারই নাকি সুবিধাজনক। স্বামী বিবেক দাহিয়ার মতে, ‘‘ডিহাইড্রেটেড (জলশূন্য), প্রিজ়ারভেটিভহীন, ঘরে বানানো রেডিমেড খাবার। পুরোটাই যেন পাউডার।’’ দিব্যাঙ্কা জানালেন, এই পাউডারের মতো খাবারে কেবল গরম জল ঢাললেই হয়ে যাবে। তাঁর কথায়, ‘‘এই খাবারগুলি ১-২ ঘণ্টা আগেই বানানো হয়েছে। তার পর ডিহাইড্রেট করে প্যাক করা হয়েছে।’’ ডিহাইড্রেটেড খাবারের তালিকায় রয়েছে পাও ভাজি, কারি রাইসের মতো নানাবিধ মিশ্রণ।

Advertisement

ব্যস্ত জীবনে ডিহাইড্রেটেড খাবারের সুবিধা অঢেল। দীর্ঘ ক্ষণ সংরক্ষণ করা যাবে, খিদে পেলে মুহূর্তের মধ্যেই তৈরি করা যাবে, প্রয়োজন কেবল গরম জলের। এই ধরনের খাবার থেকে আর্দ্রতা সম্পূর্ণ রূপে বার করে নেওয়া হয়। মেয়াদ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি এই খাবারের মধ্যে যা পুষ্টিগুণ রয়েছে, সেগুলি ঘনীভূত হয়ে যায়। সঠিক পদ্ধতি মেনে খাবারকে জলশূন্য করতে পারলে এতে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ধরে রাখা সহজ হয়। এতে প্রিজ়ারভেটিভ থাকে না বলে রাসায়নিক স্বাস্থ্যের সংস্পর্শে আসে না।

ডিহাইড্রেটেড খাবারের প্যাকেট। ছবি: সংগৃহীত।

বেড়াতে যাওয়ার সময়ে রাস্তায় খাওয়াদাওয়া করার জন্য ডিহাই়ড্রেটেড খাবারের জুড়ি নেই। দ্রুত পচে যাওয়ার ভয় নেই, কম পরিশ্রমে খাওয়াদাওয়া করা যায়, খাওয়ার আয়োজনে ঝক্কি থাকে না। তবে এ ধরনের খাবারকে পুরোপুরি স্বাস্থ্যকর বলা অত্যুক্তি হয়ে যায়।

Advertisement

জলের পরিমাণ কম বলে পরিমাপ বুঝে খাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। ফলে এই ধরনের খাবার খেলে ক্যালোরি বেড়ে যেতে পারে। তা ছাড়া ভিটামিন সি এবং বি ভিটামিনযুক্ত খাবার গরম করে জল কাটাতে গেলে সেগুলির পুষ্টিগুণ কমে যেতে পারে। খাবারের মাধ্যমে শরীরে জলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু এই খাবার থেকে শরীরে জল প্রবেশ করবে না। তাতে হিতে বিপরীত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ফলে এই ধরনের খাবার খেতে হলে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থেকে খেতে হবে। আর রোজের ডায়েটে ডিহাইড্রেটেড খাবার না রাখাই ভাল। কালেভদ্রে তাও সুবিধার কথা ভেবে খাওয়া যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement