Skin Allergy from Haldi

প্রিয়ঙ্কার ভাইয়ের বৌয়ের মতো হলুদ মেখে অ্যালার্জি হতে পারে হবু কনেদের, সমাধান কোন পথে?

সাধারণত বিয়ের দিন সকালে গায়েহলুদের অনুষ্ঠান হয়। তার পর বিকেল বা সন্ধ্যায় থাকে বিয়ের মূল পর্ব। তখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার মতো সময় থাকে না। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের ব়্যাশ বা অ্যালার্জি-জনিত অস্বস্তি খানিকটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:১৯
Share:

(বাঁ দিকে) প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস এবং নীলম উপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

বিয়ের অনুষ্ঠানে গায়েহলুদ পর্ব নিয়ে আলাদা উন্মাদনা রয়েছে বর-কনেদের। প্রথা অনুযায়ী বরের গায়ে ছোঁয়ানো হলুদ মাখানো হয় কনেকে। সঙ্গে পরিবারের সকলেই হলুদ মাখেন, উদ্‌যাপন করেন সানন্দে। কাঁচা হলুদকে সাধারণত ত্বকের বন্ধু বলেই জানেন সকলে। শুধু বিয়ের কনে নন, ত্বকে র‌্যাশ-ব্রণ কিংবা অ্যালার্জি-জনিত কোনও সমস্যা হলে কাঁচা হলুদ মাখেন অনেকেই। কিন্তু এই হলুদই কারও কারও ত্বকের ক্ষেত্রে শত্রু হয়ে ওঠে। চর্মরোগ চিকিৎসক সুরজিৎ গরাই বলেন, “প্রাকৃতিক উপাদান মানেই তা ত্বকের জন্য নিরাপদ, এই ধারণা সর্বদা ঠিক নয়। বরং কাঁচা হলুদ, অ্যালো ভেরার মতো জিনিস থেকে ত্বকে সমস্যা হয় সবচেয়ে বেশি। কারও ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয়, সে ক্ষেত্রে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।”

Advertisement

শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ঘটা করে বিয়ে সেরেছেন অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাসের ভাই সিদ্ধার্থ চোপড়া। দীর্ঘ দিনের বন্ধু নীলম উপাধ্যায়কেই জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছেন তিনি। বিয়ের আগে ব্যাচেলর পার্টি, মেহন্দি, সঙ্গীত থেকে গায়েহলুদ— সব অনুষ্ঠানেই অংশ নিয়েছিলেন যুগলে। বিয়ের পর্ব মিটেছে নির্বিঘ্নে। তার পরেই সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছেন সিদ্ধার্থের স্ত্রী নীলম। গলা থেকে শরীরের অনাবৃত অংশে লাল, চাকা চাকা দাগের ছবি দিয়েছেন তিনি। নীলম লিখেছেন, “বিয়ের দিন গায়ে হলুদ মেখে দীর্ঘ ক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকার ফল। ত্বকে অ্যালার্জি হওয়ার অন্যতম কারণ এটি। হলুদ মাখার আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ করানো হয়েছিল। তার পরেও সমস্যা রোধ করা যায়নি।”

সাধারণত বিয়ের দিন সকালে গায়েহলুদের অনুষ্ঠান হয়। তার পর বিকেল বা সন্ধ্যায় থাকে বিয়ের মূল পর্ব। তখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার মতো সময় থাকে না। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের র‌্যাশ বা অ্যালার্জি-জনিত অস্বস্তি খানিকটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

Advertisement

ত্বকের এমন সমস্যা কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

১) ত্বকের যে কোনও সমস্যায় চোখ বন্ধ করে অ্যালো ভেরা জেলের উপর ভরসা করা যেতে পারে। অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ অ্যালো ভেরা জেল। ত্বকের লালচে ভাব, জ্বালাপোড়া নিরাময়ে সাহায্য করে।

২) হাতের কাছে অ্যালো ভেরা জেল না থাকলে বিকল্প হতে পারে নারকেল তেল। নারকেল তেল অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। র‌্যাশের উপর নারকেল তেলের হালকা পরত দিলেও কাজ হবে।

৩) বাড়িতে ওট্‌স আছে? মিক্সিতে ওট্‌স গুঁড়ো করে নিন। জল বা দুধ দিয়ে ওট্‌সের পেস্ট বানিয়ে ওই অংশে মাখিয়ে রাখুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪) ত্বকের লাল হয়ে যাওয়া অংশে ঠান্ডা সেঁক নেওয়া যেতে পারে। তবে ত্বকের উপর সরাসরি বরফ ঘষা যাবে না। প্রথমে পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো বা তোয়ালের মধ্যে বরফের টুকরো মুড়িয়ে নিন। তার পর আক্রান্ত জায়গায় সেঁক দিতে পারেন।

৫) জলের সঙ্গে খুব অল্প পরিমাণে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। ওই মিশ্রণ দিয়ে আক্রান্ত অংশ পরিষ্কার করে নিন। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল। তাই সংক্রমণজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এই উপাদান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement