Adulterated Mehndi

ভেজাল মেহন্দির রমরমা, ত্বকে লাগলেই হচ্ছে চর্মরোগ, পুজোয় হাতে পরতে চাইলে আগে যাচাই করে নিন

আজকাল ভেজাল মেহন্দির খুব রমরমা। তাতে এত রকম রাসায়নিক থাকে যে, ত্বকের সংস্পর্শে এলেই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। নানা রকম চর্মরোগও হতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৭
Share:

ভেজাল মেহন্দি চেনার উপায় কী? ছবি: এআই।

আজকাল হাতে মেহন্দি পরেন অনেকেই। বিয়েবাড়ি হোক, উৎসব-অনুষ্ঠান হোক, বাঙালি মেয়েরা মেহন্দির নানা রকম নকশায় হাত সাজাচ্ছেন। মেহন্দি পরছেন পায়েও। পুজোর সময়ে যদি মেহন্দি পরার ইচ্ছা থাকে, তা হলে কেনার আগে সতর্ক হন। এখন রাস্তাতেও মেহন্দির উপকরণ নিয়ে বসেন অনেকে। পছন্দের নকশা বেছে নিলে তাঁরাই ঝটপট এঁকে দেবেন হাতে। সে সব যে খারাপ তা নয়, তবে আজকাল ভেজাল মেহন্দির খুব রমরমা। তাতে এত রকম রাসায়নিক থাকে যে, ত্বকের সংস্পর্শে এলেই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। নানা রকম চর্মরোগও হতে পারে।

Advertisement

কী কী রাসায়নিক থাকে ভেজাল মেহন্দিতে?

ভেজাল মেহন্দির সবচেয়ে বিপজ্জনক উপাদান হল ‘প্যারাফেনিলিনডায়ামিন’ (পিপিডি)। চুল রং করার ডাইতেও থাকে এই রাসায়নিক। এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে। কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস নামক চর্মরোগের ঝুঁকিও বাড়বে। তা ছাড়া ত্বকে জ্বালা, চুলকানি থেকে এগ্‌জ়িমার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে পিপিডি-র অধিক ব্যবহারে ত্বকের মেলানিন রঞ্জকের পরিমাণের তারতম্য হয়। তার থেকে ত্বকে সাদা সাদা ছোপ পড়তে পারে। ভিটিলিগো বা শ্বেতির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

Advertisement

ভেজাল মেহন্দিতে বেঞ্জিন ও টলুইনও থাকে, যা থেকে ত্বকের সংক্রমণ হতে পারে। এই সব রাসায়নিক দীর্ঘ সময় ত্বকের সংস্পর্শে থাকলে তা থেকে র‌্যাশ হতে পারে।

এগুলিতে অ্যামোনিয়ারও আধিক্য থাকে, যা থেকে ত্বকে জ্বালা, এমনকি সোরিয়াসিসের মতো চর্মরোগ হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।

ভেজাল মেহন্দির রাসায়নিকে ত্বক আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়বে। রোদ লাগলে সেখানে ফোস্কা পড়তে পারে, এমনকি ত্বকের রঙে বদলও আসতে পারে।

আসল-নকল যাচাই করবেন কী ভাবে?

রঙের দিকে খেয়াল রাখুন। আসল মেহন্দির রং সাধারণত লালচে বাদামি, কমলা বা মেরুন হতে পারে। যদি দেখেন, রং খুব গাঢ় কালো হয়ে যাচ্ছে, তা হলে বুঝতে হবে, সেই মেহন্দিতে পিপিডি-র মাত্রা অস্বাভাবিক রকম বেশি।

প্রাকৃতিক মেহন্দির নিজস্ব গন্ধ থাকে। যদি দেখেন মেহন্দি থেকে তীব্র রাসায়নিকের মতো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, তা হলে বুঝতে হবে, সেটিতে ভেজাল মেশানো আছে।

বিশ্বস্ত দোকান থেকে বা ব্র্যান্ডের নাম দেখেই মেহন্দি কেনা উচিত। সম্ভব হলে ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক মেহন্দি ব্যবহার করুন।

নতুন কোনও মেহন্দি ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করা খুব জরুরি। ত্বকে খুব অল্প পরিমাণে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করুন। যদি দেখেন, মেহন্দি লাগানোর জায়গায় ফোস্কার মতো হচ্ছে, জ্বালা বা চুলকানি হচ্ছে বা ছোট ছোট ফুস্কুড়ি বেরোচ্ছে, তা হলে সেটি ব্যবহার করবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement