মিক্সারে ঘুরিয়ে স্মুদি তৈরি করলে বা শিলে বেটে করা চাটনিতে কি পুষ্টিগুণ কমে যায়? ছবি: সংগৃহীত।
ফল রস না করে, গোটা খেতেই বলা হয়। কারণ, রস করলেই নাকি তার পুষ্টিগুণ কমে যায়। শোনা যায় এমনটাই। এখনকার দিনে অনেক খাবারই বেটে বা মিক্সারে ঘুরিয়ে খাওয়া হয়। ধনেপাতা, বাদামের চাটনি থেকে স্মুদি তৈরির জন্য মিক্সারের ব্যবহারের হয়। এতে কি খাবারের পুষ্টিগুণ কমে? না কি খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেড়ে যায়?
পুণের পুষ্টিবিদ অমিতা গাদরে ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে জানাচ্ছেন, এক এক খাবারের ক্ষেত্রে এক একরকম হয়। সাধারণত, প্রোটিন, খনিজ, ভিটামিনে তেমন কোনও তফাত হয় না এটি মিক্সারে ঘুরিয়ে নিলে বা বেটে নিলে। প্রোটিন শেক থেকে মিল্ক শেক, স্মুদি— সবই এখন তৈরি হয় মিক্সারে। পুষ্টিবিদের কথায়, অনেকেই আছেন যাঁদের ফল, বীজ সহ্য হয় না। কিন্তু স্মুদি করে বা সমস্ত উপকরণ মিক্সারে ঘুরিয়ে খেলে হজম করা সহজ হয়ে যায়। খেতেও সুবিধা হয়। এমনও লোক আছেন যাঁদের বাদাম বা বীজ সহ্য না হলেও, মাখন হিসাবে বা গুঁড়িয়ে বা বেটে খেলে হজম করতে অসুবিধা হয় না।
তবে ফলের রসের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। ফলের রস তৈরির সময় কিছু ফাইবার বাদ পড়ে যায়। ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্সের মতো পুষ্টিগুণও কমে যায়। সেই কারণে সবসময়ই গোটা ফল খেতে বলা হয়।
বেটে বা মিক্সারে ঘোরানো খাবারে কখনও কখনও গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সামান্য বেড়ে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা মাপা হয় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স দিয়ে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার অর্থ, সেই খাবার খেলে চট করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে না। বিশেষত ডায়াবেটিকদের জন্য গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, এমন খাবার খাওয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়।পুষ্টিবিদ বলছেন, বেটে বা মিক্সারে ঘুরিয়ে কোনও খাবার প্রস্তুত করলে এর মধ্যস্ত কার্বোহাইড্রেট ভেঙে শর্করা তৈরি হয়। ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একটু বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু সেই খাবারে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যুক্ত থাকলে পুষ্টির ভারসাম্য বজায় থাকে। বিশেষ সমস্যা হয় না।
পুষ্টিবিদের পরামর্শ