Cancer Risk

শুধু রক্তচাপ কিংবা ওজন নয়, ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে রোজের একটি খাবার

বার্ধক্যের আগেই ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো ক্রনিক রোগ হানা দিতে পারে একটি অভ্যাসের কারণে। ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে একই কারণে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৬
Share:

মারণরোগের ঝুঁকি বাড়ে কী খেলে? ছবি: সংগৃহীত।

ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই মিষ্টি থেকে দূরে থাকেন। মিষ্টি খাওয়া তো দূর, চায়ে পর্যন্ত চিনি খান না। চিনি ওজন বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ডেকে আনে ডায়াবিটিস। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, চিনি ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করে। চিনি খাওয়ার অভ্যাস শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। ২০১০ সালের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, দেদার চিনি খাওয়ার বিষয়টি তো ক্ষতিকর বটেই। তবে চিনি খেলে ডায়াবিটিসের পাশাপাশি মারণরোগের ঝুঁকিও বাড়ে।

Advertisement

সুস্থ থাকতে চিনি খাওয়া বন্ধ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: সংগৃহীত।

উচ্চ রক্তচাপ, দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যার সৃষ্টি হয় চিনি খাওয়ার প্রবণতায়। তবে সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হল, চিনি এবং চিনিযুক্ত পানীয় ক্যানসারের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ বাড়িয়ে তোলে। ঝুঁকি এড়াতে অনেকেই আবার বিকল্প খোঁজেন। কৃত্রিম চিনিতে রয়েছে রাসায়নিক যৌগ। খাবারে মিষ্টি স্বাদ আনতে মূলত এগুলি ব্যবহার করা হয়। তবে চিকিৎসকেদের মতে, চিনির মতো এগুলিও একই রকম ভাবে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও। তাই চিনি এবং কৃত্রিম চিনি খাওয়ায় রাশ টানতে হবে। চিনি বলে নয়, যে কোনও কৃত্রিম খাবার মানেই কি অস্বাস্থ্যকর? পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, একেবারেই তাই। কোনও কৃত্রিম খাবারই স্বাস্থ্যকর নয়। শরীরের অন্দরে মিশে জটিল নানা রোগের জন্ম দেয়। চিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে না, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে— অনেকেই এমন ধারণা পোষণ করেন। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক, সকলেই বলছেন এই কৃত্রিম চিনিও শরীরের ভিতরে সমান ভাবে ক্ষতি করে। তাই চিনির বদলে কৃত্রিম চিনি বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। বরং সুস্থ থাকতে চিনি খাওয়া বন্ধ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তা হলেই আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন