Disease X

আবার আসছে অতিমারি? করোনার থেকে ৭ গুণ বেশি প্রাণঘাতী হতে পারে ডিজিজ় এক্স

কোভিডের চেয়ে আরও বেশি মারাত্মক ভাইরাসকে ডিজ়িস এক্স বলে সম্মোধন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দফতর (হু)। এর জেরে সারা বিশ্ব আরও বড় অতিমারির সাক্ষী হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। প্রাণ হারাতে পারেন পাঁচ কোটি মানুষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১০
Share:

ডিজিজ় এক্স কী ভাবে ছড়াতে পারে? গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

এখনও কোভিড আতঙ্ক কাটেনি অনেকের মন থেকে, এরই মাঝে আবার নয়া ভাইরাসের সন্ধান চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। এ বার আশঙ্কা কোভিডের থেকেও মারাত্মক কোনও রোগ হানা দিতে পারে মানব শরীরে। করোনার তুলনায় প্রায় আরও বেশি ভয়ানক, কোভিডের থেকেও বেশি প্রাণঘাতী হতে চলেছে এই অসুখ, এ বার এমনই সতর্কতা জারি করা হল ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। কোভিডের চেয়ে আরও বেশি মারাত্মক ভাইরাসকে ডিজিজ় এক্স বলে সম্মোধন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দফতর (হু)। হু-এর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় সারা বিশ্বে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন।

Advertisement

ব্রিটেনের ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডেম কেট বিংহাম সম্প্রতি জানিয়েছেন, সারা বিশ্ব আরও বড় অতিমারির সাক্ষী হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। সেই অতিমারির দাপটে প্রাণ হারাতে পারেন পাঁচ কোটি মানুষ।

করোনার জেরে যে ভাবে সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়ায়, ডিজিজ় এক্সের থাবায় তার সাত গুণ বেশি মৃত্যু এবং ভয়াবহতা দেখতে পাবে মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ‘ডিজিজ এক্স’ কথাটির অর্থ হল, এমন একটি রোগ, যা অতিমারি ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সেই রোগটির প্যাথোজেন কী ভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে, তা এখনও অজানা। ডেম আরও বলেন, ‘‘বিজ্ঞানীরা আপাতত ২৫টি ভাইরাসের পরিবারকে পর্যবেক্ষণ করছেন, যার প্রতিটিতে হাজার হাজার পৃথক ভাইরাস রয়েছে। এদের মধ্যে যে কোনও একটি মারাত্মক অতিমারিতে রূপান্তরিত হতে পারে।’’

Advertisement

ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই একটি অজ্ঞাতভাইরাস ‘ডিজিজ় এক্স’-এর জন্য টিকা তৈরির প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। উইল্টশায়ারের হাই সিকিউরিটি পোর্টন ডাউন ল্যাবরেটরি কমপ্লেক্সে পরিচালিত এই গবেষণার কাজে ২০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী জড়িত আছেন। এই বিজ্ঞানীরা মূলত অ্যানিমাল ভাইরাস অর্থাৎ, যে ভাইরাস পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে অতিমারি সৃষ্টি করতে পারে সেইগুলির উপরেই কাজ করছেন। এর মধ্যে বার্ড ফ্লু, মাঙ্কি ভাইরাস, হান্টা ভাইরাস অন্যতম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন