Cold and Cough

পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েও কিন্তু হতে পারে সংক্রমণ, কী করে ঠেকিয়ে রাখবেন?

বাইরে বেরোলে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার সঙ্গে নেওয়ার অভ্যাস কবেই চলে গিয়েছে। করোনার দাপট না থাকলেও অন্যান্য ভাইরাসের আক্রমণ তো রয়েছে। তা ছাড়া সাধারণ সর্দি-কাশিও ছোঁয়াচে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:১৩
Share:

ঠাকুর দেখুন সাবধানে। ছবি: সংগৃহীত।

পুজোর সময় থেকে আবহাওয়ায় একটু করে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। ভোরের দিকে শিরশিরে ভাব থাকলেও বেলা বাড়লে রোদের দাপটও বেড়ে যায়। পুজোর ঘুরতে বেরিয়ে, লাইনে দাঁড়িয়ে গরমে, ভিড়ে তেষ্টা মেটাতে ওই ঘামে ভেজা গায়েই ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক দেবেন। আশপাশ দিয়ে আইসক্রিমের গাড়ি ঘুরবে আর বাঁশের ঘেরাটোপের মধ্যে থেকে হাত বাড়িয়ে তা কিনবেন না, তা-ও এক প্রকার অসম্ভব। অতিমারির সময়ে ঘন ঘন হাত স্যানিটাইজ় করতেন। এখন তো সে সব পাঠ নেই। মুখে মাস্ক পরার বালাই নেই। তা হলে এই ভিড়ে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসে মিশে থাকা ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকিয়ে সু্স্থ থাকবেন কী করে?

Advertisement

১) বার বার হাত ধোয়া

শুধু খাবার খাওয়ার আগেই নয়। বাইরে বেরোলে কিছু ক্ষণ অন্তর হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। আশপাশে হাত ধোয়ার তেমন ব্যবস্থা না থাকলে সঙ্গে থাকা জলের বোতল দিয়েই কাজ সারতে পারেন। বাধ্যতামূলক না হলেও নিজের ভাল চাইলে সঙ্গে স্যানিটাইজ়ারও রাখতে পারেন।

Advertisement

২) মাস্ক ব্যবহার করা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে বলে সাধারণ সর্দি-কাশি কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগে সহজেই আক্রান্ত হন শিশু এবং বয়স্করা। তবে ভিড়ের মধ্যে গেলে কম বয়সিরা সুরক্ষিত না-ও থাকতে পারেন। সাজ একটু নষ্ট হোক, বায়ুবাহিত ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে মুখে মাস্ক পরেই ঠাকুর দেখুন।

) ভিড়ে না যাওয়া

ঠাকুর দেখতে বেরোলে ভিড় এড়িয়ে চলা মুশকিল। তা-ও চেষ্টা করুন জনজোয়ার থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে। কারও মুখের খুব সামনে না যাওয়া, হাঁচতে কিংবা কাশতে দেখলে নাক-মুখ রুমাল দিতে ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন।

কিছু ক্ষণ অন্তর হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। ছবি: সংগৃহীত।

৪) স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

পুজোর ক’দিন অনিয়ম হবে বলে হাল ছেড়ে দিলে হবে না। রাতে ঘুম কম হলে দিনের মধ্যে যে কোনও সময়ে সেই ঘাটতি পূরণ করে নিতে হবে। এক বেলা যদি বাইরের খাবার খাওয়া হয়, তা হলে অন্য বেলা বাড়িতে হালকা খাবার খেয়ে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। সঙ্গে শরীরে যেন জলের অভাব না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

৫) যে যে অংশ স্পর্শ করেন, সে সব জায়গা পরিষ্কার করা

বাড়ির দরজার হাতল থেকে কোমডের ফ্লাশ— সবই জীবাণুমুক্ত করতে পারলে ভাল হয়। হাত থেকেই সরাসরি জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে, তাই হাত ধোয়ার পাশাপাশি বাড়ির যে যে অংশে প্রায় সকলেই স্পর্শ করেন, সেই সব জায়গা স্যানিটাইজ়ার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন