স্নানের সময় ৫টি অঙ্গ পরিষ্কার করেন তো? ছবি: শাটারস্টক।
সুস্থ জীবনযাপনের অন্যতম প্রধান একটি অঙ্গ হল পরিচ্ছন্নতা। বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয় দেহের বিভিন্ন অঙ্গ। তবে কে কোন অঙ্গ বেশি পরিষ্কার করবেন, তার অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তিগত রুচির উপর। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কিছু অংশ বেশি পরিষ্কার করা হয় আর কিছু প্রান্ত থেকে যায় অবহেলিত। আর এর থেকেই পরে বড় রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। জেনে নিন, স্নানের সময় কোন ৫টি অঙ্গ বেশি ভাগ সময়ই পরিষ্কার করতে ভুলে যান কেউ কেউ।
কানের পিছন
মাথায় শ্যাম্পু করার সময় ছাড়া কানের পিছনের অংশ ভাল করে পরিষ্কার করা হয় না। কানের এই অংশে সেবাসিয়াস গ্রন্থিগুলি অবস্থিত। এটি ব্যাক্টেরিয়া ও জীবাণু জন্ম নেওয়ার উপযুক্ত জায়গা। তাই সংক্রমণ এড়াতে প্রতি দিন কানের পিছনের অংশ পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। সরাসরি জল দিয়ে ধুতে গেলে কানে জল ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তুলো ভিজিয়ে কানের পিছনে বুলিয়ে নিতে পারেন।
নাভি
পেটের নাভি শরীরের অন্যতম উপেক্ষিত অঙ্গ। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে নাভির খাঁজে ব্যাক্টেরিয়া ও ময়লা জমার আশঙ্কা থেকে যায়। দীর্ঘ দিন পরিষ্কার না করার ফলে ব্যাক্টেরিয়া জমাট বেঁধে বাজে দুর্গন্ধও বেরোতে পারে।
নখ
সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুলেও অনেক সময়ে নখের ভিতরে ময়লা থেকে যায়। এই ময়লা খাবারের মধ্যে দিয়ে পেটে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে পেটের বিভিন্ন গোলমাল, বমি এমনকি ডায়েরিয়ার সমস্যাও হতে পারে।
জিভ
দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দাঁত ও মাড়ির যত্ন নেওয়া ছাড়াও নিয়মিত জিভ পরিষ্কার করা প্রয়োজন। অনেকেই জিভের জন্য মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন। কিন্তু জিভে থাকা ব্যাক্টেরিয়া বিনষ্ট করতে নিয়মিত আলাদা গুরুত্ব দিয়ে জিভ পরিষ্কার করা জরুরি। এতে মুখের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
পায়ের আঙুলের খাঁজ
পায়ের আঙুল সব সময়ে নজরের আড়ালেই থাকে। বিশেষ করে দুটি আঙুলের মধ্যবর্তী স্থান। বাইরের ধুলো কাদায় এই খাঁজগুলিতে সবচেয়ে বেশি ময়লা জমে। পরিষ্কার না করার ফলে ময়লা ও ব্যাক্টেরিয়া জমে ওই অংশের ত্বকে র্যাশ, চামড়া উঠে যাওয়ার মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়াও দীর্ঘ দিন ধরে ময়লা জমে থাকার ফলে দুর্গন্ধ বার হতে পারে।