Spondylitis Treatment

স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথায় নাজেহাল? ৫ টোটকা মানলেই যন্ত্রণা থেকে উপশম পাবেন

স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথার হাত থেকে বাঁচতে কেবল ওষুধ খেলেই হবে না, রোজের কিছু অভ্যাসেও বদল আনতে হবে। কী কী করলে স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথা থেকে আরাম পাবেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ ২০:০৯
Share:

অনেক ক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন? ছবি: সংগৃহীত।

কখনও পেশাগত কারণে অফিস ডেস্কে একটানা ৯-১০ ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা, কখনও আবার নিজের স্বভাবদোষেই শিরদাঁড়ায় যন্ত্রণা শুরু হয়। ঘুম থেকে উঠে ঘাড় ঘোরাতে গেলেই হচ্ছে তীব্র যন্ত্রণা? টিভি দেখতে গেলেও ঘাড় ওঠাতে সমস্যা হচ্ছে? এই সব দেখলেই বুঝতে হবে, শরীরে বাসা বেঁধেছে স্পন্ডিলাইটিস রোগ।

Advertisement

অনেকের ক্ষেত্রে ব্যথা কাঁধ থেকে পিঠ, কোমর এমনকি হাত অবধি ছড়িয়ে যায়। মেরুদণ্ডের উপর চাপ ফেলে এই অসুখ। কেবল ঘাড়, পিঠ, কোমরে ব্যথাই নয়, ব্যথার অংশ অবশ হয়ে যাওয়া, সূচ ফোটানোর মতো তীব্র যন্ত্রণাও এই অসুখের লক্ষণ। এই অসুখে আক্রান্ত হলে অনেকের আবার মাথাও ঘোরে। তবে ব্যথার হাত থেকে বাঁচতে কেবল ওষুধ খেলেই হবে না, মেনে চলতে হবে কিছু অভ্যাসও। কী করলে স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথায় মিলবে আরাম?

স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথা কমছে না? ছবি: সংগৃহীত।

১) স্পন্ডিলাইটিস ভুগলে নিয়ম করে রোজ ব্যায়াম করতেই হবে। এই অসুখ সামলাতে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে, বিশেষ করে কিছু স্ট্রেচিং। মাংসপেশিকে শক্ত রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ব্যায়াম করুন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রোগীকে বেল্ট, কলার বা বিশেষ ট্রাকশন নেওয়ার ব্যায়াম দেওয়া হয়। যোগাসনেও উপকার পেতে পারেন।

Advertisement

২) ঘাড় বা পিঠ বেঁকিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বসার অভ্যাস বদলাতেই হবে। অফিসের ডেস্কে একটানা না বসে মাঝে মাঝেই উঠে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। খানিক ক্ষণ ঘাড়ের ব্যায়াম করে নিতে পারেন। ল্যাপটপে ঘাড় গুঁজে কাজ করবেন না, চোখের সোজাজুজি ল্যাপটপ রেখে কাজ করুন। প্রয়োজনে ল্যাপটপ স্ট্যান্ড কিনুন।

৩) নিয়মিত গরম জলে স্নান করুন। এতে ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। ব্যথার জায়গায় একবার ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলেও ব্যথায় উপশম পাবেন।

৪) ঘুমের পদ্ধতিও ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। উপুড় হয়ে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। বালিশ ব্যবহার করা নিয়েও সচেতন হতে হবে। অনেকেই স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যায় বালিশ ছাড়া ঘুমোন। কখনওই বালিশ ছাড়া ঘুমোবেন না। নরম দেখে একটা বালিশ নিন, তবে বালিশ যেন খুব বেশি উঁচু না হয়। ঘুম ভাঙার পর পাশ ফিরে উঠুন। সোজা উঠলে মেরুদণ্ডের উপর আরও চাপ পড়তে পারে।

৫) ব্যথা তীব্রতা যদি অনেক বেড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আকুপাংচার পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। ব্যথা উপশমে এই পদ্ধতি বেশ কার্যকর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন